নিউজ ডেস্ক : নিজেকে কুমারী দাবি করে একের পর এক বিয়ে করে প্রতারণা ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে শাহরীন ইসলাম নীলাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক স্বামী।
খুলনা জেলার রূপসা থানার নৈহাটি গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে ইমরান শেখ তার স্ত্রী শাহরীন ইসলাম নীলাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গত ১৬ জুন ঢাকা সিএমএম আদালতে মামলাটি করেন।
অপর দুই আসামি হলেন নীলার বাবা শাহ আলম এবং মা রাজিয়া বেগম। তাদের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াই হাজার থানার লেঙ্গুরদী গ্রামে।
ওই দিনই ঢাকা মহানগর হাকিম সাজ্জাদুর রহমান মিরপুর থানাকে অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
আদালতের নির্দেশে মিরপুর থানার এসআই ফরিদা পারভীন লিয়া অভিযোগ তদন্ত করে গত ১৯ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, নিজেকে কুমারী হিসেবে দাবি করে শাহরীন ইসলাম নীলা চারটি বিয়ে করেছেন। এ চার বিয়ের কাগজপত্রও রয়েছে।
বুধবার বিচারক সাজ্জাদুর রহমান ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে আসামি নীলাসহ ৩ জনকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী ২০১৪ সালের ৩ জুলাই নীলাকে বিয়ে করেন। দেনমোহর ধার্য করা হয় দুই লাখ টাকা। বিয়ের সময় নীলা নিজেকে কুমারী দাবি করেন এবং তার মা-বাবাও তা সমর্থন করেন।
বিয়ের পর বাদী জানতে পারেন, তার সঙ্গে বিয়ের আগে ২০১০ সালের ১৫ অক্টোবর জনৈক নান্টুকে নীলা প্রথম বিয়ে করেন। ২০১৩ সালের ১০ মার্চ নীলা নিজেকে কুমারী দাবি করে জনৈক ওয়াদুদকে বিয়ে করেন। এরপর আগের দুটি বিয়ের কথা গোপন করে নিজেকে কুমারী দাবি করে ২০১৪ সালের ৩ জুলাই মামলার বাদীকে বিয়ে করেন।
আগের বিয়ে নিয়ে বাদীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হলে ২০১৫ সালে আসামী নীলা বাদীর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে একটি মামলা করেন। এরপর বাদীর সঙ্গে বিয়ে বিদ্যমান থাকা অবস্থায় পুনরায় নিজেকে কুমারী দাবি করে গত ১৩ জানুয়ারি জনৈক সুমনকে বিয়ে করেন।
মামলায় বলা হয়, নীলা নিজেকে কুমারী দাবি করে এভাবে একের পর এক বিয়েতে আবদ্ধ হয়ে বর্তমান ও আগের স্বামীদের কাছে থেকে অর্থ-সম্পদ আদায় করে থাকেন।
২১ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম