নিউজ ডেস্ক : আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কানাডার আদালত নূর চৌধুরীর অভিবাসনের মেয়াদ বাড়ায়নি ও তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে দাবি করে যেসব খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা অসত্য। এরকম কিছু ঘটেনি।
শনিবার সচিবালয়ে নিজের দফতরে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা আগে থেকেই অব্যাহত ছিল। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরে গেলে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে কীভাবে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় তা খতিয়ে দেখছে কানাডা সরকার। দেশটি মৃত্যুদণ্ডকে সমর্থন করে না এবং এ বিষয়ে তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কীভাবে তা এড়ানো তা তারা খতিয়ে দেখছে।’
এর আগে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, নূর চৌধুরীর অভিবাসন চুক্তি কানাডা সরকার নবায়ন করেনি। এটিকে বাংলাদেশের জন্য সুসংবাদ বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, কানাডা মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিপক্ষে। সে দেশের আইন অনুযায়ী, মৃত্যুদণ্ডাদেশ প্রাপ্ত কোনও ব্যক্তি কানাডায় অভিবাসী হলে ও জীবনাশঙ্কার কথা জানিয়ে আবেদন করলে সেই ব্যক্তিকে তার দেশে ফেরত পাঠানো হয় না।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা নূর চৌধুরী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১২ খুনির একজন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশ ত্যাগ করেন এবং ১৯৭৬ সালে তাকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আত্মীকরণ করা হয়। নূরের প্রথম পোস্টিং ছিল ব্রাজিলের ব্রাসিলিয়ায়। পরবর্তীতে তাকে আলজেরিয়া ও হংকং এ বদলি করা হয়। তার শেষ পোস্টিং ছিল হংকং এ এবং সেখানে মিনিস্টার হিসেবে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত তিনি কর্মরত ছিলেন।
২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম