রবিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:০৫:০৮

প্রশ্ন ফাঁসের গুজবের পেছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র : নাসিম

প্রশ্ন ফাঁসের গুজবের পেছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র : নাসিম

ঢাকা : মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পুনরায় ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।  আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তারা।  শিক্ষার্থীদের অভিযোগ সঠিক নয় গুজব বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী  বলেছেন, মেডিক্যালের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ মিথ্যা।  কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।  বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।

নাসিম বলেন, সাংবাদিকদের এতো নজরদারি, তারপরও তারা বলতে পারলো না।  অথচ পরীক্ষার দিন হঠাৎ করেই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ করা হচ্ছে।  এ গুজবের পেছনে রয়েছে ষড়যন্ত্র।

তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ আমরা ভালোভাবে তদন্ত করে দেখেছি।  কোনো প্রশ্ন ফাঁস হয়নি।  আইন করে দেশের সব মেডিক্যাল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধ করা হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এনে মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।  প্রধানমন্ত্রী এসময় গণভবনে থাকায় তারা সাক্ষাৎ পাননি।

রোববার দুপুর পৌঁনে ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  ওই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আন্দোলনে নামেন মেডিক্যালে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।

প্রসঙ্গত, ১৮ সেপ্টেম্বর দেশের মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  ভর্তি পরীক্ষার আগের রাত থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের অনুলিপি পাওয়া যায়।

ওই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের মিল পাওয়া যায় বলে অভিযোগ ওঠে।  এরপর থেকে মেডিক্যালে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা ও ফল বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন।  শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে মেডিক্যাল কলেজগুলো তাদের ভর্তি কার্যক্রম শুরু করে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার দিন প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে পিএসসির সহকারী পরিচালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে র‍্যাব।  একই অভিযোগে ২২ সেপ্টেম্বর রংপুর মেডিক্যাল কলেজের তিন চিকিৎসকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়।  আটক থাকা অবস্থায় এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন।
৪ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে