নিউজ ডেস্ক : অপরিপক্বতা, কম ভর ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি না হওয়ায় শিশু গালিবা হায়াত মারা গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত ১২ সদস্যের টিমের প্রধান নবজাতক বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আবু ইউসূফ রাজ সোমবার এসব কথা জানান।
তিনি জানান, অপরিপক্বতার কারণেই শিশুটি মারা গেছে। তার ভর ছিল মাত্র ৪৫০ গ্রাম। ২৩ সপ্তাহেই শিশুটির জন্ম হয় যা অপরিণত। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়নি।
ডা. আবু ইউসূফ রাজ বলেন, ‘এর আগে শিশুটি বেশ কয়েক হাত ঘুরে এসেছে। এ কারণে তার বেশ কিছু ইনফেকশনও ছিল। যার কারণে শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি।
আজ সকাল ৯টায় শিশুটির মরদেহ হস্তান্তরের কথা থাকলেও শিশুটির বাবা নাজমুল হুদা মিঠু বলেন, ফরিদপুরে তার স্ত্রী মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ফলে তাদের পরিবারে নানা রকমের জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে অন্য স্বজনরা হাসপাতালে আছেন।
এদিকে, শিশুটির চিকিৎসার খরচের অর্ধেক স্কয়ার গ্রুপের এমডি তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দেবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় শিশুটি। এর আগে, শনিবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে পারটেক্স এভিয়েশনের একটি হেলিকপ্টার করে ফরিদপুর থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়। গত ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ফরিদপুরের বেসরকারি হাসপাতাল ডা. জাহেদ শিশু মেমোরিয়াল হাসপাতালে জন্ম নেয় নাহমুল হুদা ও নাজনীন আক্তার দম্পতির কন্যাশিশু গালিবা হায়াত। পরে চিকিৎসকেরা শিশুটিতে মৃত ঘোষণা করেন। ওই রাতেই শিশুটিকে দাফন করতে কবরস্থানে নেওয়া হলে দাফনের আগে সে নড়ে ওঠে। এরপর দ্রুত তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম