মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৮:২২:০১

বদলে যাবে রমনা পার্ক

বদলে যাবে রমনা পার্ক

নিউজ ডেস্ক : রমনা পার্কের ঐতিহ্য সুরক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর অংশ হিসেবে অপ্রয়োজনীয় গাছ কেটে ফেলা, নতুন গাছ লাগানো, স্থাপনা অপসারণ, উন্মুক্ত স্থান নির্ধারণ এবং লেক উন্নয়নসহ পার্কটির সৌন্দর্য বাড়ানো হবে। এ জন্য একটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন করে নেওয়া পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে রমনা পার্কের দৃশ্যপট।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন শনিবার এক মতবিনিময় সভায় বিষয়টি জানান। রমনা পার্কের ইউরো রেস্তোরায় আয়োজিত ওই সভায় সরকারি কর্মকর্তা, বিশেষজ্ঞ ও রমনা পার্ক ব্যবহারকারীদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এদিন রমনা পার্কে ১০টি মিলেশিয়া গাছ রোপণ করা হয়।

এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রমনা পার্কের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সবাই এগিয়ে এসেছেন। ফলে এর সংস্কার সহজ হবে। ইতোমধ্যে ছায়ানটের বর্ষবরণ ছাড়া আর কোনও অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।’

ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন আরও জানান, ‘অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের ফলে রমনা পার্কের সৌন্দর্য নষ্ট হচ্ছে। দুর্লভ গাছ ও তরুলতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পার্কটির ঐতিহ্যও নষ্ট হচ্ছে। অস্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ হকারদের উপদ্রবে পার্কের জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পুকুরে পরিকল্পিতভাবে জাতীয় ফুল শাপলাসহ অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ লাগানো হবে।’

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। বক্তব্য রাখেন রমনা পার্ক ফেডারেশন অব ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এআর খান, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান মুন্সি, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির, গবেষক দ্বিজেন শর্মা, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ

এবিষয়ে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রমনা পার্কের উন্নয়নে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ঢাকা গণপূর্ত সার্কেল-১ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে প্রধান করে সাত সদস্যের ডিজিটাল সার্ভে কমিটি এবং ঢাকা গণপূর্ত জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে প্রধান করে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন কমিটি নামে ১৬ সদস্যের অপর একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ছাড়া আর কোনও অনুষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া হবে না। পার্কের বিদ্যমান গাছের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসসহ নামফলক স্থাপন করা হবে। পার্কের ভেতর রান্না করার অনুমতি আর দেওয়া হবে না। এছাড়া নতুন করে কোনও সংগঠন, প্রতিষ্ঠান বা অন্য কোনোভাবে যাতে পার্কের স্থান দখল না হয়, সে বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে