নিউচ ডেস্ক : সদ্য প্রয়াত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব) আ স ম হান্নান শাহের মরদেহ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টায় বাংলাদেশে আনা হবে। দেশে আনার পর ছয়টি জায়গায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে সিঙ্গাপুরে তার প্রথম নামাজে জানাজা স্থানীয় সময় বাদ এশা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তার দাফন হবে শুক্রবার।
হান্নান শাহের পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় হান্নান শাহ’র।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মরদেহ দেশে আনার পর বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় ডিওএইচএস মসজিদে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। সাড়ে ১১টায় সংসদ ভবনে, বাদ জোহর নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয় অনুষ্ঠিত হবে।
পরদিন শুক্রবার সকাল ৯টায় গাজীপুর সদর রাজবাড়ির মাঠে, সাড়ে ১০টায় কাপাসিয়া সদর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, বাদ জুমা ঘাগোটিয়া চালা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
এদিনে হান্নান শাহের মৃত্যুতে ডিওএইচএস এর বাসায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। নেতাকর্মীদের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে ৫ নাম্বার বাসার বাড়িটি।
হান্নান শাহ’র মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দলীয় প্রধান ও সাবেক খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ অনেকে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে শায়রুল কবির খান জানান, হান্নান শাহ’র সঙ্গে তার ছোট ছেলে শাহ রেজা হান্নান এবং মেয়ে শারমিন হান্নান রয়েছেন। বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে হান্নান শাহ’র মরদেহ ঢাকায় আসবে। এরপর মরদেহ রাখা হবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) হিমঘরে।
মঙ্গলবার হান্নান শাহ’র মৃত্যুর খবর শোনার পরই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান তার মহাখালী ডিওএইচএস’এর বাসায় যান।
গত ৬ সেপ্টেম্বর হান্নান শাহকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর তাকে নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। ওই হাসপাতালে তার হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার হয়।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, হান্নান শাহ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ছিলেন। ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন তিনি। অবসরের পর বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় হন। তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতাসীন থাকার সময় তিনি মন্ত্রী ছিলেন পাট মন্ত্রণালয়ের।
সূত্র এও জানায়, জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সময় হান্নান শাহ’র ভূমিকা ‘ইতিবাচক’ ছিল। অবদান ছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার মরদেহ ঢাকায় আনার পেছনে। ঘটনাবহুল ৭ নভেম্বরেও জিয়ার পক্ষেই ছিল তার অবস্থান। সক্রিয় ছিলেন জিয়াপন্থীদের সঙ্গে। ১/১১ সময় দলের ক্রান্তিলগ্নে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে অবিচল থাকেন তিনি। এর পুরস্কার হিসেবে ২০০৯ সালে তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন।
২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম