বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ০৬:০৫:১৭

ভাবী হত্যায় দেবর, মেয়ে হত্যায় মায়ের ফাঁসি

ভাবী হত্যায় দেবর, মেয়ে হত্যায় মায়ের ফাঁসি

নিউজ ডেস্ক : ভাবীকে হত্যার দায়ে দেবর ও মেয়েকে হত্যার দায়ে মায়ের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।  বুধবার রংপুর ও লক্ষ্মীপুরে মামলা দুটির রায় দেয়া হয়।

এক বছরের মেয়ে সন্তানকে হত্যার দায়ে মায়ের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুজাফর মো. কামরুজ্জামান।
 
রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি রাহেলা খাতুন (৩০) আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
 
মামলার বিবরণে ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের জয়দেব সরকার পাড়া গ্রামের আব্দার রহমানের মেয়ে রাহেলা খাতুন।  তার সঙ্গে ২০০২ সালে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী মহিপুর ইউনিয়ের চ্যাংমারী গ্রামের বাবুল মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়ার।  বিয়ের এক বছর পর তাদের কোলজুড়ে একটি কন্যা-সন্তান জন্ম নেয়।
 
কন্যা-সন্তান জন্ম নেয়ার পর থেকে রাহেলা খাতুনকে যৌতুকের কারণে প্রায় মারধর করতেন স্বামী লাভলু মিয়া।  অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীকে ফাঁসাতে ২০০৪ সালে ১২ সেপ্টেম্বর রাতে নিজের সন্তান লাকি খাতুনকে গলাটিপে হত্যা করে মা রাহেলা।  এরপর লাশ গুম করার জন্য বাড়ির পাশে পুকুরে ফেলে রাখে।
 
পরদিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে একটি ইউডি মামলা দায়ের করে।  পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর স্বামী লাভলু মিয়া বাদী হয়ে একই বছরের ১ অক্টোবর স্ত্রী রাহেলা খাতুনকে আসামি করে গঙ্গাচড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দয়ের করেন।
 
আদালতে ওই মামলার চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।  এতে ওই হত্যার দায়ের একমাত্র আসামি মা রাহেলা খাতুনকে অভিযুক্ত করা হয়।  রাহেলা খাতুন আদালতে ওই হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
 
৯ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে আদালত তার বিরুদ্ধে ওই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।
 রায় ঘোষণার পর আসামিকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লামছড়ি এলাকায় ভাবী সুলতানা বেগম ফেরদৌসী হত্যার দায়ে দেবর বেলাল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাসেম।

এ মামলার অন্য চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।  বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন তিনি।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বেলাল হোসেন লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার লামচরি গ্রামের মজিবুল হক মুন্সির ছেলে।

খালাসপ্রাপ্তরা হলেন নিহত ফেরদৌসীর স্বামী মনির হোসেন, শ্বাশুড়ি সুফিয়া বেগম, দেবর রুবেল ও ননদ শিল্পি বেগম।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, যৌতুকের দাবিতে ২০১০ সালে ২৩ নভেম্বর দুপুরে শ্বশুর বাড়ির রান্নাঘরে গৃহবধূ সুলতানা বেগম ফেরদৌসীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।  এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা হারুনুর রশিদ দেবর বেলাল হোসেনকে প্রধান আসামি করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত বুধবার প্রধান আসামি বেলাল হোসেনকে মৃত্যুদণ্ড ও চার আসামিকে বেকসুর খালাস দেন।
২৮ সেপ্টেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে