নিউজ ডেস্ক : হতদরিদ্র বাবার ছেলে ইমরান। বাবা স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে ঝালমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালান। তার কাছে অভাব আর জীবন যেন সমার্থক শব্দ। কিন্তু পারিবারিক অভাব-অনটন, তার অধ্যবসায়ে কোন ছেদ টানতে পারেনি।
প্রকৃতি প্রদত্ত প্রতিভা আর কঠোর পরিশ্রম তাকে আজ সাফল্যের হাতছানি দিচ্ছে। বরিশাল মেডিক্যাল কলেজে সে স্থান করে নিয়েছে নিজের যোগ্যতা বলে। ইমরান, সিলেট জেলার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ডুংশ্রী গ্রামের এক হতদরিদ্র ঝালমুড়ি বিক্রেতা বাবুল মিয়ার ছেলে। মা গৃহিণী। সুযোগ পেলে শ্রমের বিনিময়ে সংসারের চাকা সচল রাখতে স্বামীকে সাহায্য করেন। ৩ ভাই, ১ বোনের মধ্যে ইমরান সবার বড়। এসএসসি পরীক্ষায় স্থানীয় সৈয়দ কুতুব জালাল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন এ প্লাসসহ জিপিএ-৫ পায়। তখন থেকেই সে বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকে।
এ বছর অনুষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সিলেট মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজ থেকে এ প্লাস পাওয়ার কৃতিত্ব দেখায় ইমরান। সর্বশেষ অনুষ্ঠিত মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সে তার স্বপ্নপূরণের পথে পা বাড়িয়েছে।
ইমরানরা তাদের একমাত্র মাঠির ঘরে কোন মতে মাথা গুঁজে থাকে। ঘর বলতে একেবারে কুড়েঘর, নেই কোন উঠান, চাষের জমি তো দূর পরাহত। এমন অনটনের সংসারে বড় হওয়া ইমরান বড় হয়ে মা-বাবার মুখে হাসি ফুটাবে- এমন আশা করেন বাবা বাবুল মিয়া। ইমরান মেডিক্যালে সুযোগ পাওয়ায় ভীষণ খুশি বাবুল মিয়া অবশ্য তার পড়ালেখার খরচ জোগানো নিয়ে ভীষণ চিন্তিত। তবে তিনি আশা করেন এলাকার বিত্তশালীরা ইমরানের পড়ালেখার খরচ জোগাতে সহায়তা করবেন।-এমজমিন
৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে