বৃহস্পতিবার, ০৮ অক্টোবর, ২০১৫, ০৮:৫৮:১৫

মৌসুমের শুরুতেই বড় ধাক্কা

মৌসুমের শুরুতেই বড় ধাক্কা

নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা খুব বেশি না হলেও মৌসুমের শুরুতেই বড় ধরনের ধাক্কা খেয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার প্রেক্ষাপটে এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। একের পর এক বুকিং বাতিল হওয়ার খবর পাচ্ছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা।

কক্সবাজারের অভিজাত হোটেল লং বিচ। দুজন বিদেশি নাগরিক হত্যার পর চলতি মাসের জন্যই অন্তত ১০০ রুম বুকিং বাতিল হয়েছে এই হোটেলে। এদের প্রায় সবাই বিদেশি পর্যটক ছিলেন।

বাংলাদেশে সাধারণত অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পর্যটনের মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

এ সময় বাংলাদেশের ভেতরে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকরা যেমন ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন, তেমনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকেই কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসেন।

কিন্তু এবারে পরিস্থিতি ভিন্ন। চলতি অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসের জন্য কক্সবাজারের হোটেলগুলোতে বিদেশি পর্যটকদের যেসব বুকিং ছিল তার অধিকাংশই বাতিল হয়েছে।

লং বিচ হোটেলের কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানিয়েছেন, বিদেশি নাগরিকদের বাতিল হয়ে যাওয়া রুম বুকিংয়ের আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৫ লাখ টাকা।

ইমরান হোসেন বলেন, যারা হোটেল বুকিং বাতিল করেছেন তারা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা বলেছেন।

শুধু পর্যটনের উদ্দেশ্যে কতজন বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে আসে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই। গত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের কাজে বছরে গড়ে প্রায় চার লাখের মতো বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে।

ঢাকার গাইড ট্যুরস বছরে গড়ে ৪০০০ বিদেশি নাগরিকদের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের আয়োজন করে। এদের মধ্যে ৭০ ভাগই হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিক। বাকি ৩০ ভাগ শুধু পর্যটনের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসে।

গাইড ট্যুরসের প্রধান নির্বাহী হাসান মনসুর বলেন, দুজন বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা পর্যটনকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

তিনি বলেন, ‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে চারদিনের জন্য আমরা সুন্দরবনে একটি ট্যুরের আয়োজন করেছিলাম। পর্যটকদের মধ্যে ১৫ জন বিদেশি নাগরিক ছিলেন। সবাই তাদের ট্যুর বাতিল করেছেন।’

আগামী নভেম্বর পর্যন্ত এ ধরনের আরো বেশ কয়েকটি ট্যুর বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান হাসান মনসুর।

তবে বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ড বলছে, সার্বিক পর্যটনের উপর বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না।

পর্যটন বোর্ডের একজন উপ-পরিচালক আখতার আহমেদ মনে করেন, এই অবস্থা সাময়িক। পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন জায়গায় বাড়তি নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।

বিভিন্ন হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং ট্যুর অপারেটররা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে গত দুই বছর পর্যটন ব্যবসা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এবার ব্যবসা চাঙ্গা হবার আশা করেছিলেন তারা। কিন্তু বিদেশি নাগরিক হত্যার ঘটনা পর্যটন ব্যবসাকে আবারো বড় ধরনের ধাক্কা দিয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা
৮ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে