নিউজ ডেস্ক : শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছুরিকাঘাতে আনসার সদস্য সোহাগকে হত্যাকারী তরুণটি পুলিশকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে বলে জানা গেছে। পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, হত্যাকারী ওই তরুণ কখনও নিজ নাম বলছে ‘শিহাব’, কখনও আবার ‘ডিজিটাল আকাশ’ বলে পরিচয় দিচ্ছে। তার বাড়ি কোথায়, বাবা মায়ের নাম কী, এসব বিষয়ে কিছু বলছে না।
আনসার সদস্যদের হাতে যাত্রীদের সহায়তায় ধরা পড়ার পর গণপিটুনিতে জখম হওয়ায় আটক ওই তরুণকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, কে তাকে এ কাজে পাঠিয়েছে, এমন প্রশ্নের জবাবে সে বলছে, একজন তাকে বলেছে, ‘তুই না খেয়ে থাকিস, কোনও পুলিশ সদস্যকে মারতে পারলে জেলে গিয়ে খেতে পাবি।’
এর খানিক বাদেই ওই তরুণ আবার বলছে, তাকে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে সে পালিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে এসেছে।
খুনে ব্যবহৃত এ ছুরি কে তাকে দিয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে একবার সে বলছে, ‘একজন’ তাকে দিয়েছে। আবার বলছে, কুড়িয়ে পেয়েছে ছুরিটি।
এক প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার টেররিজম বিভাগের দায়িত্বশীল ওই কর্মকর্তা বলেন, সে জঙ্গি কিনা এখনও নিশ্চিত নই। সুস্পষ্ট কোনও বক্তব্য তার কাছে থেকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পেতে আরও সময় লাগবে।
তিনি আরও জানান, ২০১৫ সালের ২২ অক্টোবর গাবতলীতে এসআই ইব্রাহীম মোল্লাকে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার মাসুদ রানাও একই রকম অসংলগ্ন তথ্য দিচ্ছিল।
রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সোহাগ আলী (২৮) নামে আনসার সদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। আহতদের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সশস্ত্র পুলিশের এএসপি তানজিলা আক্তার জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এক যুবক তিন নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এয়ারপোর্টের ক্লিনারদের মতো হলুদ টি শার্ট পরা থাকলেও তার কাছে ডিউটি পাস ছিল না। গেটে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে বাধা দিলে সে আনসার সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে ভেতরে প্রবেশ করে। -বাংলা ট্রিবিউন।
০৭ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম