বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১৬, ০৯:৩৭:৩১

‘পাকিস্তানের দাবি হাস্যকর, উল্টো টাকা পাওনা বাংলাদেশের’

‘পাকিস্তানের দাবি হাস্যকর, উল্টো টাকা পাওনা বাংলাদেশের’

নিউজ ডেস্ক : পাকিস্তানের গণমাধ্যমে উঠে আসা খবর অনুযায়ী ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আগে পশ্চিম পাকিস্তানের যে সম্পদ সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তানে ছিলো তারই একটি বাজার মূল্য নির্ধারণ করেছে পাকিস্তান।

আর তাদের সেই হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে নয় বিলিয়ন রূপি বা সাতশ কোটি টাকারও বেশি পাওনা রয়েছে বলে দাবি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ সরকারকে এখনো বিষয়টি জানানো হয়নি।

বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ অবশ্য বলছেন পাকিস্তানের এমন দাবি অসত্য ও হাস্যকর। তার মতে মূলত বাংলাদেশ বিরোধী মনোভাব থেকেই পাকিস্তান এ ধরনের দাবি সামনে নিয়ে আসতে চাইছে।

তিনি বলেন, "স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ একটি টাকাও বৈদেশিক মুদ্রা পায়নি। সবই পাকিস্তান নিয়ে গেছে। পাকিস্তান আসলে ভারত ও বাংলাদেশ বিরোধী। এ বিরোধিতাও তাদের এ দাবির মধ্যে ফুটে উঠেছে যা সম্পূর্ণ অবাস্তব"।

বিষয়টি নিয়ে বিবিসির পক্ষ থেকে স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের এডিশনাল ডিরেক্টর কাদের বখশের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সাথে কথা বলবেন না বলে তার অফিস থেকে জানানো হয়েছে।

যদিও মিস্টার বখশ পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা হিসেবে দেশটির সব ব্যাংককে চিঠি দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারত থেকে দাবি করা যায় এমন অর্থ সম্পর্কে তথ্য চেয়েছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলছেন বাংলাদেশেরই বরং কয়েক হাজার কোটি টাকা পাওনা রয়েছে আর সেটি ব্যাহত করতেই নতুন করে এ উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান।

তিনি বলেন, "একটা ধারণা পত্র আমরা তৈরি করেছি। আদমজী আমাদের। মুক্তিযুদ্ধের পর ৭২ সালে পাট থেকে ৩৪৮ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছে। পাকিস্তান আমলে পাট থেকে রপ্তানির সব অর্থ তারা নিয়ে গেছে, আমরা সেটি পাইনি"।

এর আগে ১৯৯৬ সালেও বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে পাকিস্তানের কাছে পাওনা চাওয়ার উদ্যোগ নেয়া হলেও পরে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন বাংলাদেশও তার পাওনা আদায়ে শক্ত পদক্ষেপ নেবে। বিবিসি বাংলা

১৬ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে