মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৬, ১১:৩৭:০৫

মাঝ পদ্মায় দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ

মাঝ পদ্মায় দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ

নিউজ ডেস্ক : মাঝ পদ্মায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে সরু চ্যানেলে দুই ফেরির সংঘর্ষে এক কলেজছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ইউটিলিটি ফেরি হাসনাহেনা ও কে-টাইপম ফেরি কপোতির মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত সাজেদা খাতুন (২০) গোপালগঞ্জের মোকছেদপুর থানার লোহাইল গ্রামের কালাম মুন্সির মেয়ে। তিনি মোকছেদপুর ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী আহত যাত্রী শারমিন আক্তার জানান,  হঠাৎ দুই ফেরিতে সংঘর্ষ হলে হাসনাহেনা ফেরিতে থাকা সেবা গ্রিন লাইন নামের একটি বাস একটি কাভার্ড ভ্যানের ওপর উঠে পরে। এর মাঝখানে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই সাজেদার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তার বাম হাতের অনেকটা অংশ কেটে গেছে।

ফেরি কপোতির মাস্টার মনির হোসেন অভিযোগ করেন,  বনলতা ফেরির পিছন পিছন তার ফেরিটি চ্যানেলে ঢুকে গেলেও হাসনাহেনা ফেরিটি আর অপেক্ষা না করে চ্যানেলে ঢুকে তার ফেরিটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। এতে হতাহতের ঘটনা ও তার ফেরিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

অপরদিকে ফেরি হাসনাহেনার মাস্টার একরামুজ্জামান দাবি করেন, তিনি নিয়ম অনুযায়ী চ্যানেলের বাইরে তার ডান পাশে ফেরি স্থীর রেখে অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বনলতা ফেরিটি ভালভাবে বের হয়ে গেলেও কপোতি পারেনি। কপোতির ডান পাশে থাকা ড্রেজার মেশিনের সাথে সংঘর্ষ এড়াতে সে তার ফেরিতে এসে আঘাত করে।

এদিকে বিআইডব্লিউটিসি’র দৌলতদিয়া অফিসের ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, ফেরিতে ওঠার পর দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিটি যানবাহনের চাকার নীচে কাঠ বা শক্ত অন্য কিছু রাখা এবং গাড়ির ব্রেক লক করে রাখার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু সেবা গ্রিন লাইন পরিবহনে এ ধরনের সতর্কতামূলক কোন পদক্ষেপ ছিল না বলে তারা জানতে পেরেছেন।

এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসি’র আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম (মেরিন) ও এ ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা আ. কুদ্দুস হাওলাদার জানান, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ওই সরু চ্যানেলে এক সাথে ২টি ফেরি ঢুকে যাওয়ায় সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনাটি ঘটে। এ বিষয়ে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়া ঘটনার ব্যাপারে শিবালয় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

২২ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে