বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৪৩:৩২

বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে রোহিঙ্গা নেতা বললেন, ‘মিয়ানমার সরকার সবই মিথ্যা’

বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করে রোহিঙ্গা নেতা বললেন, ‘মিয়ানমার সরকার সবই মিথ্যা’

নিউজ ডেস্ক : রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারের সরকার এ পর্যন্ত যা বলছে, তা সবই মিথ্যা বলে মন্তব্য করেছেন একজন রোহিঙ্গা নেতা।

ব্রিটেনে বসবাসরত রোহিঙ্গা নেতা নূরুল ইসলাম বলেছেন, 'মিয়ানমার সরকার এ পর্যন্ত যা বলেছে সবই মিথ্যা কথা, বিশ্বাসযোগ্যই না।'

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনা অভিযানের প্রেক্ষাপটে সৃষ্ট পরিস্থিতির পেছনে আরএসও'র বিদ্রোহী তৎপরতা অনেকাংশে দায়ী বলে মিয়ানমারের সরকার দাবি করছে।

তবে আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গনাইজেশনের চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ওই সংগঠন বিলুপ্ত। এর কোনো কার্যক্রমই নেই। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের এ বক্তব্য বিশ্বাসযোগ্য না।

রোহিঙ্গা এই নেতা বলেন, 'আরাকানে নতুন করে সংকট সৃষ্টির পর কমপক্ষে ৫০০ মানুষ মারা গেছে। দেড়শো'র বেশি নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এটিকে তারা ব্যবহার করছে অস্ত্র হিসেবে।'

এদিকে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীদের নজরদারির মাঝেও মিয়ানমার থেকে গত কয়েকদিনে বহু রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু কক্সবাজারের টেকনাফে ঢুকে পড়েছে।

হাজার হাজার রোহিঙ্গা ঢোকার জন্য নাফ নদীর ওপারে জড় হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। তবে নূরুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশের প্রশংসা করতে হবে। সেখানে অনেক রোহিঙ্গা ইতিমধ্যেই আছে। প্রায় ৪/৫ লাখ রোহিঙ্গা আছে সেখানে। সেখানকার লোকজনের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।'

তিনি বলেন, ২০১২ সালে যখন রোহিঙ্গারা আসতে চেষ্টা করেছিল, বাংলাদেশ সীমান্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ কিন্তু পারেনি। পরে কিছু লোক ঠিকই ঢুকে গেছে এবং মানবপাচারের শিকার হয়েছিল।

রোহিঙ্গাদের সর্বসাম্প্রতিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়েও কথা বলেন এই রোহিঙ্গা নেতা।

তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের যেখানে জুলুম নির্যাতন করছে সেখানে তাদের আভ্যন্তরীণ কোনো সুরক্ষা নাই। এখন অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নাই, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে হবে। নিরাপত্তা পরিষদে এটা আলোচনা করে এ বিষয়ে বাধ্য-বাধকতা তৈরি করতে হবে।

'বাংলাদেশেও আসতে দিচ্ছেন না, মিয়ানমারেও থাকতে পারছে না। তাহলে যাবে কোথায় তারা?' প্রশ্ন তুলে রোহিঙ্গা এই নেতা বলেন, মংডু জেলায় তাদের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা তৈরি করে দিতে হবে। -বিবিসি।
২৪ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে