শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৬, ০৮:৫৪:২৩

তিনদিনের সফরে হাঙ্গেরি যাবেন শেখ হাসিনা

তিনদিনের সফরে হাঙ্গেরি যাবেন শেখ হাসিনা

নিউজ ডেস্ক: বুদাপেস্ট পানি সম্মেলনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী রবিবার তিনদিনের সফরে হাঙ্গেরি যাবেন।

সম্মেলনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরি এটিকে দ্বিপক্ষীয় সফর হিসাবে ঘোষণা করেছে। তাই এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্টের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গিদের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানি সম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তারা রয়েছেন। বাংলাদেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত একটি বাণিজ্য প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গি হবেন।

সফরের ওপর আলোকপাত করতে গতকাল (বৃহস্পতিবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।


এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, তিনদিনব্যাপী বুদাপেস্ট সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘পানি সংযুক্ত করে।’ জাতিসঙ্ঘের টেকসই উন্নয়নের অভীষ্টসমূহের (এসডিজি) পানি ও পয়:নিষ্কাশন সংক্রান্ত লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নে করনীয় নির্ধারন এবং প্যারিস জলবায়ু চুক্তির পানি সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর অগ্রগতি পর্যালোচনা করা এই সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। ২০১৩ সালে জাতিসঙ্ঘের সহায়তার হাঙ্গেরি সরকার অপর একটি পানি সম্মেলনের আয়োজন করেছিল। এটি এসডিজি এজেন্ড-২০৩০ এর পানি সংক্রান্ত একটি সুনির্দিষ্ট অভীষ্ট প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের সম্মেলনে এসডিজির সফল বাস্তবায়নে সমন্বিত ও সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনাকে গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা হবে।

তিনি বলেন, মেক্সিকো, মরিশাস, তাজিকিস্তান ও জর্ডানের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধান, জাতিসঙ্ঘ ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও পানি সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞরা এই সম্মলেনে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহায়তাকারী এবং স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম কাতারের দেশগুলোর মধ্যে হাঙ্গেরি অন্যতম। এছাড়া ইউরোপিয় দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীর, বহুমাত্রিক ও সৌহার্দপূর্ণ। এরই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার হাঙ্গেরির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নবায়ন, গভীরতর ও বিস্তৃত করতে আগ্রহী। এদিক থেকে প্রধানমন্ত্রীর হাঙ্গেরি সফর তাৎপর্যপূর্ণ।

তিনি বলেন, এটি দু’দেশের মধ্যে সরকার প্রধান পর্যায়ের প্রথম দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রীয় সফর। স্বাধীনতার পর হাঙ্গেরির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক গভীর ও সৌহার্দপূর্ণ ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এ সম্পর্কে স্থবিরতা নেমে আসে। প্রধানমন্ত্রীর সফরে হাঙ্গেরির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আবারো জোরদার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

মাহমুদ আলী বলেন, এ সফরের উদ্দেশ্য হবে বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, কৃষিসহ পারষ্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সহযোগিতার প্রসার ঘটানো। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের সর্ববৃহত রফতানি বাজার হওয়া সত্বেও হাঙ্গেরি সাথে আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বেশ কম। গত অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল এক কোটি ৬২ লাখ ডলার। তাই হাঙ্গেরির বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংলাপ, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও কৃষি খাতে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও হাঙ্গেরির চেম্বার অব কমার্সের মধ্যে সহযোগিতা বিষয়ক চারটি এমওইউ সই হবে
২৫ নভেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে