নিউজ ডেস্ক : সেলিনা হায়াৎ আইভী ২০১১ সালের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন এবং তিনি সামরিক বাহিনী মোতায়নের দাবিও করেছিলেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এবার সরকারি ম্যাকানিজম আইভীর পক্ষে থাকবে, তাই বলছেন সেনাবাহিনী প্রয়োজন নেই। সরকারি আক্রমনের ভয় নেই বলে সেনাবাহিনীর কথা বলছেন না তিনি।
আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত করতে ফের সেনাবাহিনী মোতায়নের দাবি জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব।
রিজভী বলেন, ‘ভোটগ্রহণের দিনের আগেই যেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত না হয় সেদিকে নির্বাচন কমিশনকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নির্বাচন যাতে প্রতিযোগিতামূলক, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ, অবাধ হয় এবং ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভয়ভীতিহীনভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন সেটি যেন বর্তমান নির্বাচন কমিশন তাদের বিদায়ের আগে নিশ্চিত করতে পারে তা দেখতে দেশবাসী তাকিয়ে আছে।’
তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে এখন বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানী চলছে। সুতরাং কমিশনকে অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং বৈধ অস্ত্র জমা নিয়ে নির্বাচনি পরিবেশ শান্তিপূর্ণ করতে হবে।’
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশনের প্রতি অভিযোগ সবখানে উচ্চারিত হয়ে আসছে। এতে যদি নূন্যতম গ্লানিবোধ কমিশনের হয়ে থাকে তাহলে নাসিক নির্বাচন নিরপেক্ষ করার জন্য তারা উদ্যোগী হবে। এ জন্য কমিশনকে অবিলম্বে নারায়ণগঞ্জের দলবাজ প্রশাসনকে সরিয়ে দিয়ে নিরপেক্ষ প্রশাসন বসাতে হবে।’
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হারুন অর রশিদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল খান, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ক ম মোজ্জামেল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৫ নভেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি