বৃহস্পতিবার, ০১ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:৩৮:৪২

রোহিঙ্গা গণহত্যা: বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ৪ দফা দাবি

রোহিঙ্গা গণহত্যা: বাংলাদেশ সরকারের প্রতি ৪ দফা দাবি

নিউজ ডেস্ক : ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হওয়ার কারণেই মিয়ানমারে গণহত্যা চলছে। সন্মান হারাচ্ছেন নারীরা। ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়া হচ্ছে। এই অবস্থায় বিশ্ব মোড়লরা নীরব ভূমিকা পালন করছেন অভিযোগ করে বাংলালাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারের নিকট চার দফা দাবি জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে মাসব্যাপী বিক্ষোভ মিছিলসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। গতকাল রাজধানীর মতিঝিলে একটি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিছবাহুর রহমান চৌধুরী বলেন, ঢাকায় ওআইসি’র জরুরি সভা আহ্বান করতে হবে। ওই সভার মাধ্যমে মুসিলম বিশ্ব ঐক্যবদ্ধভাবে মিয়ানমারের গণহত্যাকারী সরকারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। একইভাবে জাতিসংঘে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি সম্মেলনের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব পাঠাতে জাতিসংঘের বাংলাদেশ প্রতিনিধিকে নির্দেশ দিতে হবে। গণহত্যার অপরাধে মিয়ানমারের সু চি সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করারও দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মুসিলম বিশ্বের নেতা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আমাদের তথা গোটা বিশ্বের মুসলমানদের প্রত্যাশা ও আস্থা অনেক বেশি। রোহিঙ্গাদের জান-মাল রক্ষা করে তাদের ভূমিতে নিরাপদে বসবাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় পদক্ষেপ আমরা প্রত্যাশা করি। দ্রুত তিনি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশা করেন তারা। রোহিঙ্গা মুসলমানদের করুণ পরিণতির ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ১লা ডিসেম্বর থেকে ১০ই ডিসেম্বর পর্যন্ত অং সান সু চির নোবেল পুরস্কার প্রত্যাহারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ।

১২ থেকে ১৫ই ডিসেম্বর ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়, আমেরিকা ও চীনের দূতাবাসে, ১৮ থেকে ২০শে ডিসেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বৃটিশ হাইকমিশন ও ভারতীয় দূতাবাসে, ২১ থেকে ২২শে ডিসেম্বর সৌদি আরব, পাকিস্তান ও ইরান দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। ২৩শে ডিসেম্বর শুক্রবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। ২৮শে ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, মিয়ানমারে চলছে নির্বিচারে গণহত্যা। গ্রামের পর গ্রাম লুণ্ঠন করা হচ্ছে। সামপ্রদায়িক বৌদ্ধ ভিক্ষু ও মিয়ানমারের সেনাবাহিনী একসঙ্গে এই দানবীয় নির্যাতন পরিচালনা করছে। এই ম্যাসাকারের নেপথ্যে রয়েছে বিরাথু নামের এক ভিক্ষু। সে মিয়ানমারের এক জঘন্য জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা।

বক্তারা বলেন, ১৯৭৮ সালে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যে গণহত্যা চালায় সেই গণহত্যার ধারাবাহিকতায় ২০১২ সাল পর্যন্ত বিভিন্নভাবে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে বাংলাদেশ, সৌদি আরব ও পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে ১২ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান। আবার এই বছরের অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে রোহিঙ্গা মুসলিম নিধন। এমজমিন

১ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে