নিউজ ডেস্ক : বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করে কেউ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মনোহর পরিক্করের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে একথা বলেন তিনি। বিকাল ৪টার সময় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকের শেষ অংশে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামে অংশ নেয়া ভারতীয় হেলিকপ্টারের একটি রেপ্লিকা এবং যুদ্ধকালীন সেনাদের অপারেশন পরিচালনার আলোকচিত্র প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেন।
এ সময় ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী বাংলাদেশের কোস্টগার্ডের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ প্রদানের আগ্রহ প্রকাশ করেন। মনোহর পরিক্কর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নে প্রভূত উন্নতি করেছে, যা ভারত এখনও করতে পারেনি।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোন দেশের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা কোন প্রকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বরদাশত করব না এবং কোন দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনায় আমাদের দেশের ভূখন্ডকে ব্যবহার করতে দেব না।’
বৈঠকের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সশস্র বাহিনীর গৌরবজ্জ্বল অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার আসন্ন ভারত সফরকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতের সশস্র বাহিনীর বীর সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোরও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এর উত্তরে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ছিল এবং আমরা সেই সহযোগিতাটাই করেছি।’
বৈঠকে বাংলাদেশ ভারত পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। পাশাপাশি দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার ও সহযোগিতা বাড়ানোর কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঢাকা ও দিল্লির সামরিক সস্পর্ক জোরদারে যৌথ প্রয়াসের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরত্ব দেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী, সশস্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহফুজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা উপস্থিত ছিলেন।
১ ডিসেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি