মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০৫:০৫:৪৪

আমাদের লক্ষ্য সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা : প্রধানমন্ত্রী

আমাদের লক্ষ্য সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : আমাদের লক্ষ্য ছিল একটি সমন্বিত আঞ্চলিক অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করা। ইতোমধ্যে সে লক্ষ্য বাস্তবায়নের সূচনা প্রত্যক্ষ করেছি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বিগত আট বছরে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতিসহ পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রভূত অগ্রগতি সাধিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সকালে মিরপুর সেনানিবাসে ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০১৬’ (এনডিসি) এবং ‘আমর্ড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০১৬’ (এএফডব্লিউসি)-এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে প্রদত্ত প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান বিশ্ব-রাজনীতিতে এই রাষ্ট্রের কৌশলগত গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্তমানে আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।

তিনি বলেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জনগণের অর্থনৈতিক স্ব-নির্ভরতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আমাদের অনুসৃত নীতি ও কৌশল গতির সঞ্চার করেছে। দেশের অর্থনীতির ক্রমাগত বিকাশ ও উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে সফলতার পাশাপাশি কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ এখনো বিদ্যমান।

গ্রাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী আস্থা প্রকাশ করে বলেন, সদ্যসমাপ্ত প্রশিক্ষণে অর্জিত জ্ঞান দিয়ে আপনারা সে চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে সরকারকে যথাযথ সহায়তা করতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জেনে আনন্দিত যে- আপনারা বাংলাদেশ ও সমকালীন বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করেছেন। যার মধ্যে সামাজিক ও রাজনীতি বিজ্ঞান, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও জাতীয় নিরাপত্তার মতো যুগোপযোগী বিষয় রয়েছে। আপনারা দেশের বিভিন্ন সমস্যা ও সমাধানে ভবিষ্যত কর্মপন্থা সম্পর্কেও জ্ঞান লাভ করেছেন। যার বুদ্ধিবৃত্তিক প্রয়োগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জাতীয় অগ্রগতির ধারাবাহিকতাকে আরও বেগবান করবে।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমানে বিশ্বায়নের যুগে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা মানুষের মাঝে পারস্পারিক যোগাযোগ বৃদ্ধি করছে। যা জীবনযাত্রাকে সহজতর করছে। আবার মাঝে মাঝে প্রতিকুল পরিবেশও তৈরি করছে। তাই, আমরা জাতীয় অগ্রগতি এবং নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারকেও উৎসাহিত করছি। এই বাস্তবতাকে বিবেচনায় রেখেই আপনাদের প্রশিক্ষণ সূচি প্রণীত হয়েছে।

জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ দমনে তার সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষিত ও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের মাটিকে অতীতের মতো সন্ত্রাস বা বিছিন্নতাবাদী তৎপরতার জন্য আর কখনো কেউ ব্যবহার করতে পারবে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকবে।

ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট লে. জেনারেল চৌধুরী হাসান সোহরাওয়ার্দী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন। এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, তিন বাহিনী প্রধানগণ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ, বিদেশি কূটনিতিকবৃন্দ এবং সামরিক ও বেসামরিক উচ্চপর্যায়ের কমকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৩ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে