নিউজ ডেস্ক : গত অক্টোবরে মায়ানমার সীমান্তে পুলিশের ওপর হামলাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের ব্যাপারে কড়া সতর্কবার্তা জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ-আইসিজি।
ব্রাসেলস-ভিত্তিক দ্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের (আইসিজি) বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্থাটি দাবি, রাখাইনে চলমান সহিংসতার জন্ম হয়েছ গত অক্টোবর ও নভেম্বরে হরকাত আল-ইয়াকিন নামে একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সুসংগঠিত আক্রমণের মধ্য দিয়ে।
সংগঠনটির বিদ্রোহী কর্মকাণ্ড অন্য সন্ত্রাসী বা আন্তঃদেশীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোর চেয়ে আলাদা। তারা অন্য ধর্মাবলম্বী ও বেসামরিক নাগরিকদের হামলা করছে না। বরং মায়ানমারের নাগরিক হিসেবে রোহিঙ্গাদের স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্য অর্জনে নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালানোর সহিংস উপায় বেছে নিয়েছে আল- আল-ইয়াকিন।
এই পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মায়ানমার সেনা বাহিনীর অভিযানের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা জানিয়েছে আইসিজে।
দুই দফা হামলার পর হরকাত আল-ইয়াকিন আরো হামলা চালাতে পারে। অন্যদিকে সন্ত্রাস দমনের নামে সেনা অভিযানের ফলে পুরো সংখ্যালঘু মুসলিম জাতিটির সশস্ত্র হয়ে ওঠার ঝুঁকিতে পড়ছে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
এ অবস্থায় পরিস্থিতি এমন দিকে মোড় নিতে পারে, যার সুযোগ নিয়ে আন্তঃদেশীয় জিহাদীরা মায়ানমারে তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে পারে।
গত ৯ অক্টোবর রাখাইনে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন তিনটি চৌকিতে হামলা চালায় একদল সশস্ত্র ব্যক্তি। তারা মায়ানমারের নয়জন সীমান্ত পুলিশকে হত্যা করে। এরপর থেকে রাখাইনের উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে বহু রোহিঙ্গা হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নির্যাতন থেকে পালাতে ২৭ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এসব নিপীড়নের ঘটনা মায়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বেসামরিক প্রশাসনের ওপর চাপ তৈরি করেছে।
১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম