নিউজ ডেস্ক : বেসরকারি খাতকে দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি আখ্যায়িত করে এই খাতের উন্নয়ন এবং বিকাশে তার সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করছি, স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা বেসরকারি খাতের উন্নয়নে আর্থিক, নীতিনির্ধারণ ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গঠনে আমাদের সরকারের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।’
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত ‘নিউ ইকোনমিক থিংকিং : বাংলাদেশ ২০৩০ এন্ড বিয়ন্ড’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
বিদেশি বিনিয়োগ আনতে তার সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে আমরা একশত বিশেষ অথনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছি। যেখানে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ হবে। শিল্প কলকারখানা গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আইটি সেক্টরে দশ লাখ লোকের কর্মসংস্থান এবং এ সেক্টর থেকে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানী করার টার্গেট নিয়ে কালিয়াকৈরে ৩৫৫ একর জমির ওপর পিপিপি’র ভিত্তিতে হাই-টেক পার্ক নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এমডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। একইভাবে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)’এর সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যসমূহ ২০৩০ সালের মধ্যেই অর্জন করে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী এসডিজি বাস্তবায়নেও রোল মডেল হিসেবে পরিচিত হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৭০তম জয়ন্তী উদযাপন করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২.৫ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হবে এবং জন প্রতি মাথাপিছু আয় প্রায় ১২,৬০০ ডলারে উন্নীত হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ২০৪১ সালে আমাদের অর্থনীতি এশিয়ার আঞ্চলিক অর্থনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। স্থানীয় সাপ্লাই চেইন এবং গ্লোবাল ভ্যালু চেইন আঞ্চলিক, উপ আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সংযোগ সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বিশ্বাস করি- আমাদের অনুসৃত উন্মুক্ত অর্থনীতি উপ-আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং ব্যবসা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে উইন-উইন অবস্থান তৈরি করে সাফল্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।
ডিসিসিআই এর সিনিয়র সহসভাপতি হুমায়ুন রশিদ অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনকে ’দি ইলাস্ট্রিয়াস সান অব ঢাকা’ পুরস্কারে ভুষিত করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ বক্তৃতা করেন।
ঢাকা চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সভাপতি হোসেইন খালেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী প্লানারি সেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিঙ্গাপুর ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনের গ্রুপ প্রেসিডেন্ট লিম জিয়ন গুয়ান।
২১ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস