বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:৩৮:০১

অবশেষে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘বিশেষ বার্তা’ নিয়ে ঢাকায় বিশেষ দূত পাঠাচ্ছেন সু চি

অবশেষে রোহিঙ্গাদের জন্য ‘বিশেষ বার্তা’ নিয়ে ঢাকায় বিশেষ দূত পাঠাচ্ছেন সু চি

নিউজ ডেস্ক : উদ্বাস্তু সঙ্কট নিয়ে আলোচনার জন্য ইন্দোনেশিয়ার অনুরোধে বাংলাদেশে বিশেষ দূত পাঠাচ্ছেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চি।

ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেতনো মারসুদি গত মঙ্গলবার ঢাকা সফরকালে বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীকে অবহিত করেছেন। মাহমুদ আলী সু চির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

রাখাইন রাজ্যের সঙ্কট নিয়ে আলোচনায় ঢাকা আসার এক দিন আগে ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়াঙ্গুনে সু চির সাথে বৈঠক করেন। এতে বাংলাদেশের সাথে শক্তিশালী যোগাযোগ রাখার জন্য মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানান মারসুদি। এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে একজন বিশেষ দূত পাঠানোর প্রস্তাব দেন সু চি।

ইয়াঙ্গুন বৈঠকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যোগ দেন। আসিয়ানের অনুরোধে রাখাইন রাজ্যে মানবিক সহায়তা পাঠানোর জন্য সম্মতি দেন সু চি।
ঢাকা সফর শেষে দেয়া এক বিবৃতিতে মারসুদি বলেন, ইন্দোনেশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক এখন দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে গেছে। আঞ্চলিক উদ্বাস্তু সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
উদ্বাস্তু সমস্যা সত্ত্বেও মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সফরকালে মারসুদি কক্সবাজারের নিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পসহ কুতুপালংসহ অপর একটি অনিবন্ধিত উদ্বাস্তুশিবির পরিদর্শন করেন এবং রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন।

এ প্রসঙ্গে মারসুদি বলেন, উদ্বাস্তু সমস্যাটি উৎসেই (রাখাইন রাজ্যে) সমাধান করতে হবে। এজন্য রাখাইন রাজ্যের উন্নয়নে মিয়ানমার সরকারের সব ধরনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন দেয়ার জন্য আঞ্চলিক নেতা ও অন্যান্য অংশীদারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

এ দিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গতকাল জানানো হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলোচনায় মাহমুদ আলী জানিয়েছেন, রাখাইন রাজ্যের মানুষের ক্ষোভ ও গভীর হতাশা নিরসনে পদক্ষেপ নেয়া না হলে আঞ্চলিকভাবে চরমপন্থা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই হুমকি মোকাবেলায় মিয়ানমারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ। দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী মানব পাচার রোধের উপায় নিয়েও আলোচনা করেন।
২২ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে