নিউজ ডেস্ক:সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জমান নূর আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়েছিলেন একটি নির্ধারিত সভায় অংশ নিতে। জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে সভা শেষ করে মন্ত্রী চলে যান জাতীয় চিত্রশালায়।
সেখান থেকে ১৭ তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীর সবগুলো গ্যালারি ঘুরে দেখেন।
সংস্কৃতি মন্ত্রী যখন গ্যালারিগুলো ঘুরে দেখছিলেন তখন সেখানে ছিল একদল শিশু-কিশোর। পর্দায় দেখা চেনামুখটি দেখে উল্লাসে ফেটে পড়ে জুরাইন এলাকার কে এম মাইনউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। মন্ত্রীকে পেয়ে আনন্দে ভেসে গিয়েছিল ছাত্র-ছাত্রীরা।
অবিরাম অনুরোধ আসছিল পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার। হতাশ করেননি নূর। শিশু কিশোরদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর, দলীয় ছবি ও সেলফি তুলে শিশু-কিশোরদের চাহিদা মেটালেন।
এবার ১৭ তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনীতে প্রথম দিন থেকেই ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা প্রদর্শনী পরিদর্শনে আসছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ নতুন জুরাইন কে এম মাইনউদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ২৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী এসেছিল।
গত ১ ডিসেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মাসব্যাপী প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে ৫৫৬ জন শিল্পীর শিল্পকর্ম থেকে বাছাই করে ১৪৮ জন শিল্পীর ১৫৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনের জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য ৫৪ জন আমন্ত্রিত চিত্রশিল্পীর ৫৪টি শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। অন্যদিকে প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে ৫৪টি দেশের ১২৭ জন শিল্পীর ২৭৭টি শিল্পকর্ম। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে প্রদর্শনী। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে।-প্রথম আলো
২২ ডিসেম্বর,২০১৬/এমটি নিউজ২৪ ডটকম/আ শি/ এএস