বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ০২:১৬:৪৪

জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শেষ, নানা অভিযোগ

জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ শেষ, নানা অভিযোগ

নিউজ ডেস্ক : সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়ে সারা দেশে সম্পন্ন হলো জেলা পরিষদ নির্বাচন।  এখন অপেক্ষা কেবল ভোট গণনা ও ফল জানার। দেশের ৫৯ জেলায় ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। তবে বেশকিছু স্থানে ভোটকেন্দ্র ভোটারশূন্য থাকার খবর পাওয়া গেছে। প্রার্থীদের বৈধতা প্রশ্নে আদালতের নির্দেশে বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকলেও নির্বাচনের দিন কোথাও বড় ধরনের কোনও অনিয়ম বা সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি।

পার্বত্য তিন জেলা বাদে দেশের ৬১ জেলায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে ভোলা ও ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত সদস্য পদে সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ওই দুই জেলায় ভোট হয়নি। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো নির্দলীয়ভাবে।

দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে ব্যাপক টাকা ছড়াছড়ি ও সরকার দলের এমপিদের প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ পাওয়া যায়। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রীয় সুবিধাভোগী  সংসদ সদস্যদের নির্বাচনি এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তা আমলে নেননি। মঙ্গলবার রাতে অন্তত দুই ডজন সংসদ সদস্য এলাকায় অবস্থান করেন বলে জানা গেছে।

এদিকে আচরণ বিধি অনুযায়ী নির্বাচনের ৩২ ঘণ্টা আগে প্রচার-প্রচারণা শেষ হওয়ার কথা থাকলেও মঙ্গলবার বিভিন্ন এলকায় প্রকাশ্যে ভোট চাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

নির্বাচনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ২১জন চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ১৬৬জন ও সংরক্ষিত সদস্য ৬৯জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকিগুলোতে আজ (বুধবার) ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান এবং সদস্য পদে সবমিলিয়ে প্রার্থী সংখ্যা ৩ হাজার ৯৩৮জন। মোট ভোটার সংখ্যা ৬৩ হাজার ১৪৩জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ৩৪৩জন এবং মহিলা ভোটার ১৪ হাজার ৮০০জন।

আইন অনুযায়ী, স্থানীয় সরকারভুক্ত প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা এ নির্বাচনের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এ নির্বাচনে মূলত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত এবং একই দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। নির্বাচনে বিএনপি, জাতীয় পার্টি অংশ নেয়নি।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের পাহারায় ২০জন পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান,ব্যাটালিয়ান আনসার ও আনসার ভিডিপির সদস্যরা মোতায়েন ছিলেন। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ছিল বিজিবি ও র‌্যাব। এছাড়া প্রতিটি ভোট কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে ১টি মোবাইল বা স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং র‌্যাবের ১টি করে মোবাইল বা স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন ছিল।

৬১টি জেলা পরিষদে নির্বাচনে আটটি সংস্থার ১ হাজার ৩৩৯ জন পর্যবেক্ষককে অনুমোদন দেয় ইসি। এর মধ্যে ৬টি সংস্থার স্থানীয় পর্যবেক্ষক ৯৬৩জন ও তিনটি সংস্থার কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক ৩৭৬জন। -বাংলা ট্রিবিউন।
২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে