নিউজ ডেস্ক : প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একটি অবিচ্ছেদ্য সাংস্কৃতিক বন্ধন বিদ্যমান। ১৯৭১ সালে ভারতের অনেক সেনা স্বাধীনতা যুদ্ধে জীবনদান করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের অটুট বন্ধন এই ত্যাগের মধ্যে নিহিত। স্বাধীনতার পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী এই বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে তিন দিনব্যাপী ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব ও ব্যবসায়ী সম্মেলনের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এস কে সিনহা আরও বলেন, ''বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক দিন দিন সুদৃঢ় হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদ দমন ও টেকসই উন্নয়নের জন্য দুই দেশের এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকা প্রয়োজন। ''
প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ''আমি এই সম্মেলনে আসা ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আপনারা এখানে বিনিয়োগ করুন। বিনিয়োগ করতে কোনো আইনি বাধার মুখে যাতে পড়তে না হয় সে বিষয়টি আমি দেখব। ''
মৌলভীবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. কামাল হোসেন এর সভাপতিত্বে উৎসবে প্রধান বক্তা ছিলেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাণিজ্য, শিক্ষা, শিল্প ও আইনমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিছবা উদ্দিন সিরাজ, সংসদ সদস্য সাবিহা নাহার বেগম, সিলেটের ডিআইজি কামরুল আহসান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক রফিকুর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল, নারী উদ্যোক্তা আয়েশা আক্তার ডালিয়া, সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সালাউদ্দিন আলী আহমদ, পৌর মেয়র ফজলুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক উত্তর ত্রিপুরা পত্রিকার সম্পাদক ও মৈত্রী উৎসব উদযাপন পরিষদ সমন্বয়ক মোহিত পাল প্রমুখ।
প্রধান বক্তা হিসেবে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের বাণিজ্য, শিক্ষা, শিল্প ও আইনমন্ত্রী তপন চক্রবর্তী বলেন, ''বাংলাদেশ হচ্ছে ত্রিপুরার এক এবং অভিন্ন প্রতিবেশী। ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বেশি প্রাধান্য পায়। বিশ্বের তৃতীয় ও বৃহৎ অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভারতের অবস্থান ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। ভারতের এই উত্থান প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের জন্যেও নতুন ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা খুলে দেবে এবং উৎসাহ যোগাবে বলে আমার বিশ্বাস। ''
৩০ ডিসেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম