ঢাকা : বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সাবেক চেয়ারম্যান মুহম্মদ খিজির খানকে যে কারণে হত্যা করা হয়েছে আসামিদের দেয়া তথ্য উদ্ধৃত করে তা জানিয়েছে ডিবি পুলিশ। ধর্মীয় মতাদর্শগত পার্থক্যের কারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন জানান ডিবির পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মনিরুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানিয়েছে, পীররা মাজারের সেবক, তারা শিরকের কাজ করে। তাদের হত্যা করা ঈমানি দায়িত্ব। তাই তাদের তালিকা তৈরি করে হত্যা করা হয়। নিজেদের সংগঠনের অর্থের সংস্থানের জন্য ঘটনাস্থল থেকে তারা মালামাল লুট করে।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ৮ জনের একটি দল। দুই দলে ভাগ হয়ে একদল উপরে গিয়ে তার পরিবারকে জিম্মি করে মালামাল লুট করে আর আরেক দল নিচে খিজির খানকে বেঁধে হত্যা করে।
খিজির হত্যা মামলার দুই আসামিকে বুধবার রাজধানীর মিরপুর এবং টাঙ্গাইল থেকে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতাররা হলেন তারেকুল ইসলাম ওরফে মিঠু ও আলেক বেপারী। আসামিদের কাছ থেকে খিজির খানের ২টি ল্যাপটপ ও দুটি ক্যামেরা উদ্ধার করেছে বলে জানায় ডিবি পুলিশ।
মনিরুল ইসলাম জানান, মিঠু কিলিং মিশনে উপস্থিত ছিল। আর আলেক বেপারী ড্রাইভার। ৮ জনকে নিয়ে গাড়িতে করে তিনি ঘটনাস্থলে নিয়ে আসেন। হত্যাকাণ্ডের পর আবার তাদের নিয়ে যান।
তিনি জানান, গ্রেফতার মিঠু জেএমবির অন্যতম সংগঠক। ২০০৫ সালে দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার হওয়ার পর ৫ বছর কারাভোগ করে জামিনে ছাড়া পায়।
মনিরুল ইসলাম জানান, আসামিরা একে অন্যের নাম জানে না। তবে দেখলে চিনবে বলে জানায়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানান তিনি।
১৫ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম