ঢাকা : এবারো খেলতে গিয়ে ৩০ ফিট গভীর কূপের ভেতরে পড়ে মারা গেল সাত বছরের শিশু ইয়াছিন। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে সাভারের আশুলিয়ার দক্ষিণ ভাদাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
শিশু ইয়াছিনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ইয়াসিনের বাবা জসীম উদ্দিন জানান, দুপুরে খাবার পর ইয়াসিন ভাদাইল তালতলা এলাকার হাবিবুর রহমানের ভাড়াটিয়া কক্ষ হতে পার্শ্ববর্তী জহিরুল ইসলামের বাড়ির পাশের একটি খোলা গভীর কূপের কাছে খেলতে যায়। এসময় হঠাৎ পা পিছলে কূপে পড়ে ডুবে যায় সে।
খেলার সাথীরা দেখতে পেয়ে শিশুর মা মনোয়ার বেগমকে জানালে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসেও ডুবন্ত ইয়াসিনকে কূপ হতে উদ্ধার করতে পারেনি। মায়ের চোখের সামনে ডুবে গেল শিশুটি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ডিইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট দীর্ঘ চেষ্টার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে।
৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ২৫ ফুট প্রশস্ত ও ৩০ ফুট গভীর কূপটিতে মাগুরের চাষ করছেন কূপের মালিক ভাদাইল এলাকার প্রভাবশালী জহিরুল ইসলাম জহির।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিন কাদির জানান, গভীর কূপটিতে ঢাকনা ছিল না। অরক্ষিত এ কূপে যে কেউ পড়ে যেতে পারে। এর দায় সংশ্লিষ্টরা এড়াতে পারে না।
শিশু ইয়াসিনের লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর কূপটির মালিক জহির আত্মগোপনে রয়েছেন।
ইয়াছিন কিশোরগঞ্জের কুনিয়ারচড় এলাকার দক্ষিণ ফালুয়া গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তিনি আশুলিয়ার দক্ষিণ ভাদাইল এলাকার হাবিবুর রহমানের বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর রাজধানীর খিলগাঁওয়ের শাহজাহানপুর কলোনি মাঠের পাশে ওয়াসার ৪০০ ফুট গভীর কূপে পড়ে যায় জিহাদ নামের এক শিশু। ২৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে বহু নাটকীয় ঘটনা ঘটে গেছে।
১৫ অক্টোবর,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এমআর/এসএম