রবিবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ০৬:১৮:৫৯

বাবু সুরঞ্জিতের মৃত্যুতে আ.লীগ নেতাদের প্রতিক্রিয়া

বাবু সুরঞ্জিতের মৃত্যুতে আ.লীগ নেতাদের প্রতিক্রিয়া

নিউজ ডেস্ক : সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি বড় অধ্যায় হারিয়ে গেলো। সংসদ হারালো অভিজ্ঞ ও বিশিষ্ট পার্লামেন্টারিয়ানকে। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি বিপুল কাজ করেছেন। জাতি তার অবদানকে চিরকাল স্মরণ করবে।

আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা সকালে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জিগাতলার বাসায় এভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান। তারা বলেন, দেশের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন এক মেধাবী ব্যক্তিত্ব। তার বাচনভঙ্গি, যুক্তি-তর্ক ছিলো সবার জন্য অনুকরণীয়।

রোববার সকাল ৯টার দিকে ধানমন্ডির ঝিগাতলার নিজ বাসভবনে অ্যাম্বুলেন্সে করে তার মরদেহ আনা হয়। তার মৃত্যুর সংবাদ রাজধানীতে ছড়িয়ে পড়লে অসংখ্য শোকার্ত মানুষ বাসভবনে ছুটে আসেন। দলীয় নেতাকর্মী, মন্ত্রীবর্গ, সংসদ সদস্য,সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যক্তিবর্গ ছুটে আসেন। এর আগে ভোর ৪ টা ২৯ মিনিটে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রাজধানীর ল্যাব-এইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরলোকগমন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই এলাহী চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতির একটি বড় অধ্যায় হারিয়ে গেলো। তার বাচনভঙ্গি, যুক্তি-তর্ক ছিলো অনুকরণীয়। ২৬ বছর বয়স থেকে তিনি ছিলেন সংসদ সদস্য। সংসদ ও সংবিধানকে কার্যকর করে তুলতে তার ভূমিকা ছিলো অপরিসীম।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মৃত্যুর সংবাদ শোন পর সকাল থেকেই আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা তার জিগাতলার বাসায় আসেন। সেখানে তারা পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। সহমর্মীতা জানান। তারা অনেকেই স্মরণ করেন দেশের রাজনীতিতে এই মেধাবী সন্তানের অবদানের দিনগুলোর কথা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, পার্লমেন্ট লস্ট এ গ্রেট পার্লামেন্টেরিয়ান। সুরঞ্জিত খুবই জনপ্রিয় রাজনীতিক ছিলেন। তিনি দাঁড়ালে আর কেউ কথা বলতো না। তার চলে যাওয়া আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, পার্লামেন্ট সম্পর্কে তার যে জ্ঞান ছিল তা অতুলনীয়। পার্লমেন্টের সার্বভৌমত্বে আঘাত হয় এমন কিছু ভুল হলে তিনি সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিবাদ করতেন। সংবিধান প্রণয়নের ক্ষেত্রে, সংশোধনের ক্ষেত্রে তিনি তার অভিজ্ঞতার ছাপ রেখে গেছেন। জাতি তার অবদানকে চিরকাল স্মরণ করবে।

তিনি বলেন, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমৃত্যু গণতন্ত্রের ধারক বরেণ্য এ নেতা ছিলেন মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রতীক। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, বাংলাদেশের বয়স আর তার রাজনীতি জীবনের বয়স সমান। তার সমতুল্য রাজনীতিক আর বেশি নেই। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় তিনি বিপুল অবদান রেখে গেছেন।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ বলেন, তরুণ বয়স থেকে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত রাজনীতি করতেন। তার মতো একজন অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান দেশে দ্বিতীয়জন আর নেই। তার অভাব অপূরণীয়।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তিনি আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক বর্ণাঢ্য ব্যক্তিত্ব। পার্লামেন্টারিয়ান হিসেবে তিনি নাম্বার ওয়ান বলে আমার মনে হয়। তার মৃত্যুতে বিরাট শূন্যতা তৈরি হয়েছে। এটা সহজে পূরণ হবার না।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জিগাতলার বাসায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদের, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বি মিয়া, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন ও খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথ এমপিসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছেন।
০৫ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে