কাজল ঘোষ : সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। একটি নাম। একটি ইতিহাস। একজন ছন্দবদ্ধ রাজনীতিক। ঈর্ষণীয় এক ব্যক্তিত্ব। স্বাধীনতা পরবর্তীতে পার্লামেন্টে তিনি একাই বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে পার্লামেন্ট বিতর্কে ঝড় তুলতেন। নানা ইস্যুতে স্বতন্ত্র অবস্থানে অনড় থাকতেন। সংবিধান প্রণয়নেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যার রক্তে শুধুই রাজনীতি। প্রমাণও দিয়ে গেছেন শেষ সময় পর্যন্ত।
১১ই জানুয়ারি ইসি গঠনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অনেকদিন থেকেই নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। দেশের বাইরে থেকেও উন্নত চিকিৎসা নিয়ে ফিরেছেন। তবু শরীর ভালো যাচ্ছিল না। চিকিৎসকদের পরামর্শে হাসপাতাল আর বাসা এভাবেই চলছিল। ল্যাবএইডে ড. বরেণ চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের বৈঠকের যখন প্রস্তুতি চলছিল তখন তিনি ছিলেন ল্যাবএইডের ভিআইপি কেবিনে চিকিৎসাধীন। রক্তের হিমোগ্লোবিন, ফুসফুসের জটিলতায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু পাঁচতলায় কেবিনে চিকিৎসারত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছে যখন খবর পৌঁছে সার্চ কমিটি নিয়ে বঙ্গভবনের বৈঠকের তখন তিনি আর স্থির থাকতে পারেন নি।
বাইরে সবধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার অলিখিত নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত অনড় ছিলেন বৈঠকে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্তে। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে ল্যাবএইড থেকেই যোগ দিয়েছিলেন সার্চ কমিটির বৈঠকে। বৈঠক শেষে ফিরেও এসেছিলেন ল্যাবএইডে। এক অনন্য রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। সত্যিকার রাজনীতিকের পরিচয়ে সেদিন সকলেই অবাক; বিস্মিত হয়েছিলেন। এমজমিন
০৬ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস