শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:১৪:২৩

খালেদার লন্ডন সফর ও রাজনীতিতে অতিকথন

খালেদার লন্ডন সফর ও রাজনীতিতে অতিকথন

ড. সরদার এম. আনছিুর রহমান : দীর্ঘ ৪ বছর পর গেল ১৫ সেপ্টেম্বর সফরে লন্ডন গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। পার্টির নেতাদের ভাষ্য এবং গণমাধ্যমের তথ্য মতে, সফরটি একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত ও চিকিৎসার জন্য। এরপরও দেশের সব কিছু দাবিয়ে বারবার আলোচনায় আসছে সফরটি। এ থেকে সহজেই অনুমেয়, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বেগম জিয়ার গুরুত্ব ও প্রভাব। একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ তথা তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে আলোচনা হবে এটাই স্বাভাবিক। এ নিয়ে আমার কোনো কথা নেই। কিন্তু এই সফরকে ঘিরে রাজনীতিতে নতুন করে যে হিংসা-প্রতিহিংসার বাতাস বইছে সে বিষয়ে। এতদিন বিরোধী পক্ষ থেকে যে হিংসাত্মক রাজনীতির অভিযোগ করা হচ্ছিল তার একটা আলমতও লক্ষ্য করা গেছে গেল ক’দিনে। আমরা কী দেখলাম- খালেদা জিয়া লন্ডন যাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী এমপি ও মহাজোট নেতাদের বক্তব্য-বিবৃতি থেকে সেই আলামত আরও স্পষ্ট করে তুলেছে।দেশ যখন নানামুখী সঙ্কটে সে মুহূর্তে এটা যেন আমাদেরকে এক অশুভ ইঙ্গিত দিচ্ছে। এতে সামনের পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এ উদ্বেগ শুধু দেশবাসির মধ্যেই নয়, আন্তর্জাতিক মহলেও রয়েছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ- গণতান্ত্রিক আচরণ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তাতে কী ‘কয়লা ধুইলে তো ময়লা যায় না’। সেই উদ্বেগের জায়গা থেকেই আজকের আমার এই লেখা। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের একজন প্রাক্তণ ছাত্র হিসেবে যতটুকু জানি তাতে, গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত পরমতসহিষ্ণুতা। গণতন্ত্র তো হলো সেই পরিবেশ- যেখানে সব দল মত ও বিশ্বাসের মানুষ তাদের সব চিন্তা-চেতনা মুক্তভাবে প্রকাশ ও চর্চা করতে পারে। গণতান্ত্রিক সমাজে যেমনটি কারো মত প্রচারে বাধার সৃষ্টি করা যায় না, তেমনি কোনোভাবেই কাউকে আঘাত তো দূরের কথা, অসম্মানও করা যায় না। ফলে গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করতে হলে নিজেদের মত নিজেদের মতো করে জনগণের কাছে উপস্থাপনের মাধ্যমেই করতে হবে। এক্ষেত্রে ব্যত্যয় হলে গণতান্ত্রিক রীতিনীতির ব্যত্যয় হবে, সমাজ হারাবে গণতান্ত্রিক চরিত্র। ঘটবে গণতন্ত্রের বিপর্যয়। প্রভাব বিস্তার করবে পেশিশক্তি কিংবা অপশক্তি। আজ বাংলাদেশ কী সে পথেই এগুচ্ছে? আমরা গত কয়েক বছর ধরে কী দেখলাম। সরকার ও বিরোধী পক্ষ গণতান্ত্রিক রীতিনীতির পরিবর্তে এক বিরাট শক্তির মহড়া দিয়েছে। দু’পক্ষের এই শক্তির প্রতিযোগিতায় প্রাণ গেল নিরপরাধ মানুষের, পুলিশ-র্যাবের গুলিতে মরলো, পঙ্গু হলো শত শত মানুষ, রাজ পথে পুড়ে মরলো, প্রতিপক্ষের আঘাতে মরলো, হামলা-মামলায় জেলে গেল, ঘরবাড়ি ছাড়া হলো, ক্ষয়ক্ষতি হলো হাজারও কোটি টাকার সম্পদ আরও কত কী! এসব কেন হয়েছে, অবশ্য এর জবাব হাসিনা-খালেদার কাছে ভিন্ন। তবে আমরা সাধারণ জনগণ জানি, এসব কিছুর দায় তারা কেউ এড়াতে পারবেন না। কিন্তু তাতে আমাদের কী বা করার আছে! রাষ্ট্রযন্ত্রের ক্ষমতা বলে কথা। যখন যার হাতে তখন তারা নিজের মতো করেই এই শক্তিকে ব্যবহার করেন। আর সেই শক্তির প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার সাধ্য কার বা আছে! থাক এসব কথা, ফিরে আসি আজকের আলোচ্য বিষয়ে। দীর্ঘ ৪ বছর পর ব্যক্তিগত সফরে লন্ডন গেছেন খালেদা জিয়া। চিকিৎসা মূল উদ্দেশ্য হলেও ওয়ান ইলিভেনের পর এই প্রথম পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলন।যতদূর জেনেছি তাতে, মাঝেমধ্যে দলীয় নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ ছাড়া বেশি ভাগ সময় পরিবারের সাথেই কাটাচ্ছেন। আর এটাই স্বাভাবিক। আমরা লক্ষ্য করছি-বিদেশ সফর তো আমাদের রাষ্ট্রপ্রধান, নির্বাহী প্রধানসহ আরো অনেকেই অহরহ করছেন। কউ সেগুলো নিয়ে তো এত আলোচনা-সমালোচনা হয় না।কিন্তু বেগম জিয়া সফরে যাওয়ার পর থেকে সর্বমহলে বিশেষ করে সরকার পক্ষের লোকজন বেশ সরব। এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীও বাদ যাননি। গণতান্ত্রিক রীতিতে আলোচনা-সমালোচনা হতেই পারে সেটা দোষের কিছু নয়। কিন্তু সরকার পক্ষের লোকজন যে ভাষায় সমালোচনা করছেন তা অতিকথন কিংবা অকথন বললেও মনে হয় ভুল হবে না। কেননা, তাদের বক্তব্য-মন্তব্য সব গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে ছাড়িয়েছে। কোন কোন ক্ষেত্রে তা শুধু গণতান্ত্রিক রীতিনীতি নয়, স্বাভাবিক রুচিবোধকেও ছাড়িয়েছে। সব মিলেই বেগম জিয়ার লন্ডন সফর নিয়ে ক্ষমতাসীনরা স্নায়ু চাপে ভুগছেন বলে মনে হচ্ছে। তারা নানা মন্তব্য-বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকাশও করেছেন। ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউ এ সফরে ষড়যন্ত্রের গন্ধও খুঁজে পাচ্ছেন। বেগম জিয়ার সফর সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘লন্ডনে ওনার (খালেদা জিয়ার) কুপুত্র রয়েছেন। তাই বিএনপি চেয়ারপারসন নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে লন্ডন গেছেন। যতই ষড়যন্ত্র এবং বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরনা দিক না কেন, কোনো লাভ হবে না।’ ‘উনি (খালেদা জিয়া) ভেবেছেন লন্ডন গিয়ে ষড়যন্ত্র করে মা- ছেলে মিলে এই সরকারকে একটা বিপদে ফেলা যাবে। ইতালিয়ান নাগরিক তাভেলা সিজার হত্যায় বেগম খালেদা জিয়ার যোগসূত্র থাকতে পারে।’ সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসবেন পুরস্কার নিয়ে আর খালেদা জিয়া ফিরবেন শূন্য হাতে। ছেলের কাছ থেকে কূটবুদ্ধি নিতেই তিনি লন্ডন গেছেন। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘খালেদা জিয়া নতুন করে ষড়যন্ত্র করতে লন্ডন এয়ারপোর্ট থেকে পুত্র তারেকের সঙ্গে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন।’ নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, ‘তিনি মানুষ হত্যাসহ নানা অপকর্ম করেছেন। সেসব অপকর্মের সাজা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য লন্ডন যাত্রা করেছেন। সেখান থেকে আর তিনি ফিরে আসবেন না।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘তিনি লন্ডনে থাকা অবস্থায় দেশে পরপর দুজন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। সেখানে বসেই তিনি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। এ হত্যার ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা আছে কি-না খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত। এ হত্যার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের সম্পৃক্ততার কিছুটা প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে আরো তদন্ত চলছে। তদন্তে সম্পৃক্ততার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রমাণিত হলে তাদের রক্ষা নাই। শুধু মন্ত্রী কিংবা নেতারাই নন, বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আপনি (প্রশ্নকারী) কী বললেন, উনি আওয়ামী লীগে প্রেমিক খুঁজে পেয়েছেন? উনি আওয়ামী লীগে প্রেমিক কীভাবে খুঁজে পেলেন, আমি জানি না। তাহলে ফালুর কী হবে?’ ‘উনি যদি আওয়ামী লীগে দেশপ্রেমিক খুঁজে পান খুব ভালো কথা। উনি তো লন্ডনে বসে ডিম মারায় ব্যস্ত। আর কী কাজ করছেন আমি জানি না। ঠিক আছে নিজের ছেলেমেয়ে নাতিপুতি দেখতে খুব ভালো কথা। চিকিৎসায় গেছেন খুব ভালো কথা। আওয়ামী লীগের কার সঙ্গে কী সম্পর্ক আপনারা সাংবাদিকেরা খুঁজে বের করেন, উনি কাকে পেলেন এত উপযুক্ত। এ ব্যাপারে আমার কোনো কমেন্ট করার নাই।’ ১৫ অক্টোবর কুড়িগ্রামে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষঢ়যন্ত্র করে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন।’ অবশ্য এর জবাবে বিএনপি সেভাবে নিজেদের জড়ায়নি।বিএনপির মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন প্রধানমন্ত্রী ও আ’লীগ নেতাদের বক্তব্যের জবাবে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিএনপির চেয়ারপারসন সম্পর্কে যে অশালীন কটূক্তি করেছেন তা শুধু সত্যের অপলাপই নয়, এটা রীতিমতো অমানবিক ও কুরুচিপূর্ণ।’ দুই বিদেশি হত্যাকান্ড নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের জবাবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ‘সরকারের ওপর মহল থেকে এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের জন্যই এই সব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত কখনও হয় না। তদন্তে পক্ষপাত চলে আসে।’ ফলে সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও রাজনৈতিক নেতারা যাই বলুক না কেন, তাদের এসব বক্তব্য-বিবৃতি কতটা যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত এবং তা জনগণের কাছে কতটা বিশ্বাসযোগ্য তা কি তারা ভেবে দেখেন? তারা কি চিন্তা করেন তাদের পদপদবী ও বক্তব্যের দায়িত্বশীলতার যোগসূত্র নিয়ে? প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-নেতাদের বক্তব্য অনুসারে ধরেই নিলাম খালেদা জিয়া বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করে দেশের ভেতর এত অঘটন ঘটাচ্ছেন। দুই বিদেশি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন! তবে এসবের তথ্য-প্রমাণ কোথায়? সরকারের কাছে তা থাকলে অবিলম্বে জনগণের সামনে প্রকাশ করা উচিত। আর খালেদা জিয়া যদি বিদেশে বসেই দেশে এত অরাজকতা করতে পারেন, তবে গেল সাত বছরে তো দেশের বারোটা বাজানোর কথা ছিল। কউ এত আন্দোলন সংগ্রাম করেও তো সরকারের কিছুই করতে পারেননি। ফলে সরকারের শীর্ষ কর্তাদের এসব বক্তব্য কী করে আমরা সাধারণ জনগণ বিশ্বাস করবো? অবশ্য লন্ডনে বসে খালেদা জিয়া কী করছেন, কোথায় কি বলছেন এসব গোপন কিছু নয়। বর্তমান এই অবাধ তথ্য প্রবাহের যুগে মিডিয়ার কল্যাণে আমাদের সবার কাছেই তা খুবই পরিষ্কার। তাই আমাদের রাষ্ট্রের হর্তাকর্তা ও রাজনীতিবিদদের বক্তব্য শোনে খুবই কষ্ট হয়।কেননা, এসব দায়িত্বহীন বক্তব্য যেমন যে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের তদন্তকে বাধাগ্রস্ত করছে তেমনি তাদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে দায়িত্বহীন হিসেবে প্রতীয়মান করছে। ফলে জাতি তাদের কাছ থেকে আরো দায়িত্বশীল বক্তব্য আশা করে। এইত গেল দুই ঈদে দুই নেত্রীর ঈদ কার্ডের মাধ্যমে দেশবাসী আশাবাদী হয়ে উঠেন, এই জানি দেশে গণতন্ত্র ফিরছে। এতদিন যাই হয়েছে এবার সঠিক পথে হাঁটতে শুরু করেছেন তারা। কিন্তু জনগণের সেই আশাও গুড়ে বালি। অবশ্য এ কথা সবারই জানা, আমরা দুই নেত্রীকে যতই দোষারোপ করি না কেন, দেশের বেশীর ভাগ জনগণ কিন্তু তাদের ছায়াতলে। ফলে দুই নেত্রীর প্রতি রয়েছে দেশের জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশের জনসমর্থন। ফলে ইচছা করলেই কেউ কাউকে দমাতে পারবে না, এটাই বাস্তবতা। ফলে যে অবস্থা চলছে তা অব্যাহত থাকলে বলা যায়- অঘোষিতভাবেই আবারো প্রতিহিংসার রাজনীতির প্রভাবে হানাহানি শুরু হতে পারে। আর এতে করে কী হবে- আবারো দেশে ফিরে আসবে সেই পুরনো রাজনৈতিক অস্থিরতা, সহিংসতা এবং হরতাল অবরোধ।যা কোনোভাবেই দেশবাসীর কাম্য নয়। তাই আজ মনে পড়ে গণতন্ত্র সম্পর্কে আব্রাহাম লিংকনের সেই কথা ‘By the people, of the people and for people’। আমরা যদি গণতন্ত্রের প্রতি সামান্যতম বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা রাখি তবে সবাইকে সেই চর্চা করার সুযোগ দেয়া উচিত। আলোচনার মাধ্যমে সব সংকট নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। অন্যথা, এহেন প্রতিহিংসার রাজনীতি দেশের তো নয়ই, কোনো পক্ষেরই যে লাভ হবে না, তা আমরা অতীত থেকেই শিক্ষা নিতে পারি। সর্বোপরি, দোষারোপের রাজনীতি পরিহার করে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে শত রাজনৈতিক মতবিরোধের মধ্যেও কিছু মৌলিক প্রশ্নে সব পক্ষকে একমত হতে হবে। তবেই জাতির বৃহত্তর স্বার্থ সংরক্ষিত এবং দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। লেখক: কলাম লেখক ও গবেষক।ই-মেইল: [email protected] (লেখকের একান্তই নিজস্ব মতামত, এমটিনিউজ২৪ডটকমের সম্পাদকীয় নীতির আওতাভুক্ত নয়। ) ১৭ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে