বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ০৮:৪২:৫৪

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনও অধিক শক্তিশালী : প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনও অধিক শক্তিশালী : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : ২০১৯ সালে অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার রক্ষায় তার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের নির্বাচনী আইনের গুণগত সংস্কার করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার সংসদে তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সদস্য নূর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সকল প্রকার সংস্কার, গুণগত পরিবর্তন এবং আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা যাতে কেউ বাধাগ্রস্ত করতে না পারে, এ জন্য নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা দেয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রী নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের প্রতি তার অবিচল আস্থা ব্যক্ত করে বলেন, নতুন কমিশন সবোর্চ্চ স্বাধীন ও নিরপেক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হবে। তার সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।

প্রধানমন্ত্রী ভবিষ্যতে দেশের সংবিধানের আলোকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং অন্যান্য কমিশনার নিয়োগের জন্য একটি আইন প্রণয়নেরও পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক প্রক্রিয়া রাতারাতি হয়নি, এর রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সংগ্রামের মাধ্যমে দেশের জনগণকে দীর্ঘপথ পাড়ি দিতে হয়েছে। এই ব্যবস্থা কার্যকর করতে অনেক রক্ত দিতে হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন সংক্রান্ত ৩২ টির বেশি অধ্যাদেশ ও আইন প্রণীত হয়েছে। অন্যান্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনের মতো বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনও অধিক শক্তিশালী। একটি কার্যকর সংস্থা হিসাবে নির্বাচন কমিশনের প্রয়োজনীয় ক্ষমতা এবং আইনগত কর্তৃত্ব রয়েছে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছিল। যা ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। দেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের কঠোর আন্দোলনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার হয়। আমরা যদি বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাস পর্যালোচনা করে দেখি, তাহলে দেখতে পাব, বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পূর্ববর্তী সরকার নির্বাচনী ব্যবস্থা ম্যানিপুলেটেড করেছে। নির্বাচন কমিশন আগের যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে অধিক ক্ষমতা ও সক্ষমতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবে।
১৫ ফেব্রুয়ারি,২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে