আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে ঢুকে পড়ে টহল দিচ্ছে দৈত্যাকৃতির মর্কিন যুদ্ধ জাহাজ কার্ল ভিনসন৷ গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৯ তারিখ থেকে টহল দিচ্ছে প্রায় ৩০টি যুদ্ধবিমানে ঠাসা ওই মার্কিন রণবহর৷ এই ঘটনায় বেজায় চটেছে চীন৷ ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে এবার পাল্টা কী চাল চালবে বেজিং, সেদিকে নজর রেখেছে আন্তর্জাতিক মহল৷
শুক্রবার প্রায় ২৫টি মার্কিন যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার দক্ষিণ চীন সাগরে লাগাতার টহল দেয়৷ সেনাবাহিনীর সদস্যরা গায়ে পোশাক চাপিয়ে বিমানে সমরাস্ত্র ‘ফিট’ করছিলেন বলেও জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের৷ মার্কিন কার্ল ভিনসনের এরকম দাপুটে পদক্ষেপেই থেমে নেই আমেরিকা৷ মার্কিন সেনেটররা একের পর এক চীন-বিরোধী মৌখিক বোমা দেগেই চলেছেন৷ মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট রেক্স টিলারসন দাবি তুলেছেন, দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপে সারফেস টু এয়ার মিসাইল বানানো বন্ধ করতে হবে বেজিংকে৷
যদিও মার্কিন সেনার স্ট্রাইক গ্রুপ কমান্ডারের রিয়ার অ্যাডমিরাল জেমস কিলবি জানিয়েছেন, ইউএসএস কার্ল ভিনসনের টহলদারি মোটেও মার্কিন পেশীশক্তির আস্ফালন নয়৷ বরং এশিয়া প্যাসিফিকের প্রতি মার্কিন দায়বদ্ধতা প্রমাণ করতে ও মিত্রশক্তির প্রতি আনুগত্যের জন্যই টহল দিচ্ছে মার্কিন রণবহর৷ অতীতেও এমনটা হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে বলে দৃঢ়ভাবে জানিয়েছেন মার্কিন সেনানায়করা৷ ১৯৭০ থেকে ভিয়েতনামের কাছ থেকে এই অঞ্চলের আধিপত্য ছিনিয়ে নিয়েছে চীন৷
০৪ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস