নিউজ ডেস্ক : দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের প্রতিবেদনকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করেছে আওয়ামী লীগ বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখান করছি। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার আগে তাদের নিজেদের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করা উচিত।’
রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত আওয়ামী লীগের এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়াসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি অনেক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক ভালো। এ বছর সেদেশে এ পর্যন্ত ৬শ’ লোক নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে এবং গত বছর নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ১১শ’ লোক নিহত হয়েছে।
তিনি বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতরা হিস্পানিক, কালো রেড ইন্ডিয়ান বা ধর্মীয় ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর লোক। এ সকল হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্রে আন্দোলন দানা বেঁধে উঠতে দেখা যায়। ওই হামলার সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হয় এবং একজন মারাত্মকভাবে আহত হয়। আহত ব্যক্তি পরবর্তীতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যুক্তরাষ্টের চেয়ে অনেক ভালো উল্লেখ করে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের এ প্রতিবেদনে সরকারের জঙ্গী দমন কর্মকান্ডেরও সমালোচনা করা হয়েছে। আমাদের দেশের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গীবাদ দমনে যেভাবে দক্ষতা দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও তা দেখাতে পারেননি।
দেশের প্রতিটি খাতে সরকারের অভূতপূর্ব সফলতার চিত্র তুলে ধরে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুদ্র ঋণের পরিবর্তে ক্ষুদ্র অনুদান প্রকল্প হাতে নেওয়ায় দেশের এ অভাবনীয় উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।
ক্ষুদ্র ঋণকে সম্মানের সাথে ভিক্ষাদান হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ঋণের কুফলে দেশের প্রান্তিক দরিদ্রগোষ্ঠীর মানুষ ঋণের আষ্টেপৃষ্ঠে বন্দী হয়ে যায়। এতে তারা দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হতে থাকে।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ গত ৩ মার্চ ২০১৬ সালের বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
০৫ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস