নিউজ ডেস্ক : বর্তমান সরকার নারী-পুরুষের সমতা আনয়নে নারী শিক্ষার বিস্তার, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, নারীর ক্ষমতায়নসহ নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে নানামুখী কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বুধবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।
দেশ গড়ার সকল কাজে নারীরা তাই আজ পুরুষের সহযোদ্ধা হিসেবে অবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, বিচার, প্রশাসন, কূটনীতি, সশস্ত্র বাহিনী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সর্বক্ষেত্রে নারীর সফল ও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এখন যথেষ্ট দৃশ্যমান।
সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকে বিশ্বের সকল উন্নয়নের সমঅংশীদার হিসেবে পুরুষের পাশাপাশি নারীর অবদান অনস্বীকার্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের নারীসমাজও একইভাবে বেগম রোকেয়ার দেখানো পথ ধরে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধসহ দেশ গঠনে অসামান্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।
বাংলাদেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী -এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় উন্নয়নের সর্বক্ষেত্রে সমঅংশীদারিত্ব নিশ্চিত করার মাধ্যমে দেশের সার্বিক চিত্র পরিবর্তন করা সম্ভব, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সহায়ক হবে। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সমন্বিত প্রয়াসে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়াও সম্ভব বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সেই সাথে নারী পুরুষের সম্মিলিত প্রয়াস বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ এর গন্তব্যে সফলভাবে পৌঁছতে পারবে বলে তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। বিশ্বের সমগ্র নারী জাতির জন্য ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’কে একটি অর্থবহ ও গৌরবের দিন হিসেবে আখ্যায়িত করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান বিশ্বে নারীর অধিকার ও মর্যাদা লাভের ক্ষেত্রে দিবসটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে তিনি আনন্দিত এবং এ উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল নারীকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেই সাথে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৭’ সাফল্য কামনা করেছেন।
০৭ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস