বৃহস্পতিবার, ০৯ মার্চ, ২০১৭, ০৭:২১:০৩

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সদাপ্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে সদাপ্রস্তুত থাকুন : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : তার সরকার সকল উন্নয়ন কর্মসূচিতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস কার্যক্রম সম্পৃক্ত করেছে। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের জনগণকে সদাপ্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী ১০ মার্চ জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস-২০১৭ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে দুর্যোগের নতুন ঝুঁকি প্রতিরোধ ও বিদ্যমান ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। এজন্য প্রয়োজন সকলের সচেতনতা ও সমন্বিত প্রস্তুতি।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ২০১৫-২০৩০’র দুর্যোগ সম্পর্কিত ধারাসমূহ বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এ প্রেক্ষাপটে চলতি বছরের জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘দুর্যোগের প্রস্তুতি সারাক্ষণ, আনবে টেকসই উন্নয়ন’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী দিবসটি পালনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের প্রশংসা করে এর সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রাচীনকাল থেকেই এ দেশ বন্যা, ঘুর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে আসছে। তাই দুর্যোগের হাত থেকে জান-মালের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করতে দেশের সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দুর্যোগ ঝুঁকি প্রতিরোধে তাদেরকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশব্যাপী দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ১৯৭২ সালে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) গঠন করেছিলেন। এছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে তৈরি করেছিলেন ‘মুজিব কিল্লা’।

শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ দেশ গঠনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সাল থেকে দুর্যোগ মোকাবিলায় বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। এ লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আইন ২০১২, জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা ২০১০-২০১৫ এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০১১ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকান্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করা ও তাদের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্প এবং বজ্রপাতের ওপর পৃথক পৃথক জাতীয় কর্মশালার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে সারাদেশ থেকে জনপ্রতিনিধি, সরকারি চাকুরিজীবী, এনজিও প্রতিনিধি, উন্নয়ন সহযোগী, দুর্যোগ বিশেষজ্ঞ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণ জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যেই বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে সারাদেশে ১০ লাখ তালগাছ রোপণসহ বেশ কিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় আধুনিক উদ্ধার সরঞ্জাম ক্রয় অব্যাহত রয়েছে। নগর পর্যায়ে স্বেচ্ছাসেবক তৈরি করা হয়েছে। সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের ভূমিকম্প পরবর্তী অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রম বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, তার সরকার দুর্যোগ বিপদ সংকেত পদ্ধতি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ঝুঁকিহ্রাস, প্রস্তুতি, সাড়াদান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন ইত্যাদি কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। এ সব পদক্ষেপের ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা সম্ভব হয়েছে।

০৯ মার্চ ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে