মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫, ০১:১০:২২

‘নেপালের অবরোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে’

‘নেপালের অবরোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে’

ঢাকা : বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নেপালের ওপর ভারতের অব্যাহত অবরোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। তিনি বলেন, এ অবস্থার দ্রুত সমাধান চায় বাংলাদেশ, যাতে দক্ষিণ এশিয়ার সাধারণ মানুষের দুর্দশার অবসান ঘটে। অনেক আগেই এ অবরোধ শেষ হওয়া উচিত ছিল। দ্য হিন্দুকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী । তোফায়েল আহমেদ বলেন, নেপালের বিরুদ্ধে যে অবরোধ চলছে তা এখন আর শুধু ভারত ও নেপালের মধ্যকার বিষয় নয়। সার্কের অভিন্ন সমৃদ্ধির যে পরিকল্পনা রয়েছে তাতে আঘাত করতে পারে এই অবরোধ। তোফায়েল আহমেদ মনে করেন, অবরোধ নেপালের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সোমবার তার সাক্ষাৎকার ভিত্তিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে দ্য হিন্দু। এতে বলা হয়, তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ নেপাল পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ নিয়ে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছে বাংলাদেশ। ব্যতিক্রম ঘটিয়ে তিনি বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতার যে উদ্দীপনা এ অবরোধ তার বিরোধী। তিনি বলেন, এ বছর জুনে বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া ও নেপাল (বিবি আইএন) পরিবহন নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য একটি ফ্রেমওয়ার্ক সৃষ্টিতে সম্মত হয়। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় অভিন্ন সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ওই পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। এখন দেখা যাচ্ছে তা একটি অনাকাঙ্খিত পদক্ষেপ। বিবি আইএন-এর উদ্দেশ্যই ছিল ভুটান, নেপাল, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যদিয়ে বাণিজ্যিক পরিবহনগুলো চলাচল করার সুবিধা পাবে। কিন্তু নেপালের বিরুদ্ধে যে অবরোধ চলছে তাতে বিবি আইএনের মতো চুক্তিগুলোতে আঘাত লেগেছে। ওই প্রতিবেদনে তোফায়েল আহমেদকে বাংলাদেশের একজন উদার রাজনীতিক হিসেবে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছ থেকে তিনি বর পেয়েছিলেন। এতে বলা হয়েছে, তোফায়েল আহমেদের ওই মন্তব্য প্রাসঙ্গিক। কারণ, বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি সার্কভুক্ত অঞ্চলে মুক্ত বাণিজ্য অনুমোদনের পক্ষে কাজ করছেন। ওদিকে দ্য হিন্দুর সঙ্গে কথা বলেন হিমেল ম্যাগাজিনের সম্পাদক কনক মনি দীক্ষিত। তিনি একটু পিছনে ফিরে বলেন, ২০১৩ সালে ভুটানে জ্বালানি সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। ভারত ও ভুটানের মধ্যে ভর্তুকি সংক্রান্ত বিরোধে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। যদি দক্ষিণ এশিয়ার মিডিয়া সেই কাহিনী পর্যালোচনা করে তাহলে তাদের উচিত হবে নেপালের বিরুদ্ধে এই অবরোধের বিষয়ে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করা। তিনি বলেন, আমাদেরকে ভবিষ্যতে সীমান্ত বাণিজ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা উচিত, যাতে অবরোধের মতো বিষয়গুলোকে আরও কার্যকরভাবে আমরা সমাধান করতে পারি। তবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, নেপাল ও ভারতের মধ্যে কোন বিরোধ খোঁজার পক্ষে নন তিনি। কিন্তু তিনি অনুধাবন করেন যে, এরকম অবরোধ বিশ্বায়নের এই যুগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ও মুক্ত বাণিজ্য বিষয়ক চুক্তিতেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তোফায়েল আহমেদ বলেন, নেপালের সঙ্গে আমাদের খুব বেশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নেই। কিন্তু নেপালের বিরুদ্ধে অবরোধ যদি অব্যাহত থাকে তাহলে তাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশী ট্রাক মালিক, বন্দর ও বিভিন্ন কোম্পানির ওপর। আমরা আশা করি এই অবরোধ অস্থায়ী এবং খুব শিগগিরই এর সমাধান হবে। তিনি বলেন, তার সরকার দক্ষিণ এশিয়ার এ অঞ্চলে এ জাতীয় প্রতিবন্ধকতা ও অবরোধের সমাপ্তি চায়, যাতে সাধারণ মানুষ দুর্দশা থেকে মুক্তি পায়। ২০ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এসএম/ডিআরএ

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে