শনিবার, ০১ এপ্রিল, ২০১৭, ০৩:৩৬:০২

জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ৯ সদস্য হারালো পুলিশ-র‌্যাব

 জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ৯ সদস্য হারালো পুলিশ-র‌্যাব

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ, গাবতলী, আশুলিয়া এবং সিলেটে বিভিন্ন জঙ্গিবিরোধী অভিযান ও তল্লাশির সময় জঙ্গি হামলায় এ পর্যন্ত পুলিশ ও র্যা বের ৯ সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। তবে জঙ্গি নির্মূলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কখনও পিছপা হবে না বলে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

শনিবার (১ এপ্রিল) মৌলভীবাজারের বড়হাটে জঙ্গিবিরোধী অভিযান ‘অপারেশন ম্যাক্সিমাস’ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘জঙ্গিবিরোধী অভিযানে র্যা বের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশ সদস্যদের খুনি জঙ্গিদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর ইচ্ছা ছিল। কিন্তু প্রকৃতিগতভাবে তাদের বিচার হয়ে গেছে। হামলাকারী ওইসব জঙ্গি পরবর্তী অভিযানগুলোতে নিহত হয়েছে।’

সিটিটিসি প্রধান আরও বলেন, ‘সিলেটের আতিয়া মহলের বাইরে হামলা ও বিস্ফোরণে লে. কর্নেল আজাদ, ইন্সপেক্টর মনিরুল ও ইন্সপেক্টর কয়সর শহীদ হন। তাদের খুনিকে বিচারের মাধ্যমে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলানোর ইচ্ছা ছিল। কিন্তু সেই হামলাকারী জঙ্গিও নাসিরপুরের অভিযানে নিহত হয়েছে।’

সিলেটের আতিয়া মহলের বাইরে হামলাকারী জঙ্গি মৌলভীবাজার থেকে গিয়ে সেখানে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আবার এখানে ফিরে এসেছিল জানিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘এখানে বিস্ফোরক এক্সপার্ট ও মধ্যম সারির দুই পুরুষ ও এক নারী জঙ্গি অবস্থান করছিল বলে আমরা জেনেছি। এরপরই আমরা বড়হাটের জঙ্গি আস্তানার সন্ধান পাই এবং এখানে দ্রুত অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে সিটিটিসি প্রধান জানিয়েছেন, সোয়াটের অভিযানের সময় এক নারী জঙ্গি ছাদে উঠে দুটি গ্রেনেড ছুড়ে মেরেছিল। একটির বিস্ফোরণ হলেও আরেকটি পাশের ধানক্ষেতে গিয়ে পড়ে। সেজন্য সোয়াটের কমান্ডোরা সতর্কভাবে অভিযান চালানোর কারণে কিছুটা সময় লেগেছে।

পুলিশের জঙ্গি বিশেষজ্ঞ এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘জঙ্গিদের জীবিত ধরার ইচ্ছা ছিল। তাদের আত্মসমর্পণের জন্য বলাও হয়েছিল। কিন্তু জঙ্গিরা আত্মসমর্পণ না করে পাল্টা গ্রেনেড ও বোমা হামলা চালায়। সোয়াটের কমান্ডোরা যখনই কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেছে তখনই তারা ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। অভিযান শেষে ভেতরে ঢুকে দুই পুরুষ ও এক নারী জঙ্গির লাশ দেখা যায়।’

বড়হাটের জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী এই অভিযান গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে মনে করেন মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘দেশ, মানবতা ও ধর্মবিরোধী এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের দমন করা কঠিন হবে না যদি সাধারণ মানুষ ও বাড়িওয়ালারা সতর্ক থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহযোগিতা করেন। তাহলে এমন ঘটনা ঘটবে না। তাছাড়া এমন অভিযানের সময় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে গিয়ে সবারই ভোগান্তি হয়। এমন ঘটনা যেন আর না হয় আমরা সেটাই চাই।’
০১ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে