নিউজ ডেস্ক : ভারতের সঙ্গে চুপি চুপি কোনো চুক্তি করা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ নিয়ে সংবাদ মাধ্যমকে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় আলোচনা হয়েছে। কেউ চোখ থাকতে তা না দেখলে তাদের কপাল মন্দ।
রাতে গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী খালি হাতে ফিরে এসেছেন।
এর জবাবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন বলেছেন, জনগণকে নাকি অন্ধকারে রেখে ভারতের সঙ্গে সব চুক্তি করেছি। এই কথা তিনি কিভাবে বলেন? চুক্তির আগে মন্ত্রী সভায় এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত সফরের আগে পররাষ্ট্র সচিব সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেছেন। ভারতে দুইদেশের পক্ষ থেকে যৌথ সংবাদ সম্মেলনেও চুক্তি নিয়ে কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, চোখ থাকতে যদি কেউ অন্ধ হয় তাহলে আমার কিছু বলার নেই। যার চোখ থাকতে অন্ধ তার কপালও মন্দ। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার কাছে প্রশ্ন রাখতে চায়, চীনের সঙ্গে তিনি যে সামরিক চুক্তি করেছিলেন তা কার সঙ্গে আলোচনা করে করেছিলেন? খালেদা জিয়ার মতো আমি চুপকে চুপকে চুরি করে কোন চুক্তি করিনি।
তিনি বলেন, তিস্তা নিয়ে উনি অনেক কথা বলছেন। আমার প্রশ্ন খালেদা জিয়াও তো ক্ষমতায় ছিলেন। উনি ক্ষমতায় থাকতে কেন ভারত থেকে পানি আনতে পারেননি? ভারত সফর শেষে তিনি বাংলাদেশে এসে বলেছিলেন পানির কথা বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। আসলে ভারতে তিনি খোশামোদী, তোষামোদীতে এত ব্যস্ত ছিলেন যে, পানি চাওয়ার সাহসই পাননি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু এটা নয়, ভারতের কাছে স্থলসীমানা চুক্তি বাস্তবায়নের দাবি তোলাও সাহস পাননি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই চুক্তি ভারতের সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে পাস করা হয়। এটা আমাদের কূটনৈতিক সফলতা।
তিনি বলেন, এরপরই আসি সমুদ্র সীমানা নিয়ে। বিএনপি চেয়ারপারসন কি কখনও ভারতের কাছে সমুদ্র সীমানা নিয়ে কথা বলেছেন? বলেননি। ভারতের পদলেহনে এমনই ব্যস্ত ছিলেন যে, তোলার সাহসই পাননি। আমি এমনটাই মনে করবো। সমুদ্র সীমানার সমাধান আওয়ামী লীগ সরকার করেছে। আমি ক্ষমতায় আসার পর এ নিয়ে যত তথ্য জোগাড় করার করেছি। সংশ্লিষ্টদের দিয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন দীপু মনি। অনেকে ওই সময় তার বিদেশ সফর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। উনি কেন এত ঘন ঘন বিদেশ সফর করেন ওই সময় বলতে পারিনি। সমুদ্র সীমানা সমস্যা সমাধানে তাকে অনেক দৌঁড়াতে হয়েছে। বৈঠকে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারা বৈঠকে অংশ নেন।
১৩ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস