শনিবার, ২০ মে, ২০১৭, ০৪:৩৩:১২

‘বিত্তশালী বন্ধুর মনোরঞ্জনের জন্য নাঈম আশরাফ আমাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল’

‘বিত্তশালী বন্ধুর মনোরঞ্জনের জন্য নাঈম আশরাফ আমাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল’

ঢাকা : দেশের নামিদামি অনেক মডেলের বন্ধু সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ। পেশাগতভাবে প্রোডাকশন হাউজ ইমেকার্স বাংলাদেশে কাজ করার সুবাধে নাঈম আশরাফের মডেল কানেকশন ছিল প্রবল। সুন্দরী হলেই কথা নেই। অল্প সময়ে মিশে যেতো নাঈম। কারণে-অকারণে ফোনে যোগাযোগ করতো। এভাবেই গড়ে তুলতো বন্ধুত্ব। বন্ধুত্বের আড়ালে মূলত মডেলদের সাপ্লাই করতো নাঈম।

মডেল কালেকশনের জন্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, ধনীর দুলাল, রাজনৈতিক দলের নেতা ও  কিছু কর্মকর্তার দরবারে ডাক পড়তো নাঈম আশরাফের। এই কারণেই বন্ধুত্ব গড়ে উঠে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের ছেলে সাফাত আহমেদের সঙ্গে। তাছাড়াও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ছিল নাঈম আশরাফ। উচ্চবিত্ত একটি শ্রেণির কাছে ইয়াবা সরবরাহ ছাড়াও মডেল-অভিনেত্রীদের নিয়ে পার্টিতে মদ-ইয়াবা সেবন করতো তারা।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণী সম্ভ্রমহানীর মামলার দুই প্রধান আসামির বিরুদ্ধে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। সাফাত ও নাঈমের কললিস্টে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিদিনই অনেক মডেলের সঙ্গে কথা হতো তাদের। জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম জানিয়েছে, এসব মডেল মূলত তার বন্ধু। বন্ধুতার কারণেই অনেকের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটিয়েছে বলেও স্বীকার করেছে সে। মডেলদের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ের ছবি রয়েছে তার। অরিজিৎ সিং ও নেহা কাক্কারের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মডেল, শিল্পী ও অভিনেত্রীদের নজরে আসে নাঈম। অনেকের সঙ্গেই ভালো বন্ধুতা গড়ে উঠে তার।

নাঈমের মাধম্যেই সাফাতের সঙ্গে যোগাযোগ হয় অনেক মডেল কন্যার। এমনকি নামকরা বেশ কয়েক মডেলকে আপন জুয়েলার্সের অ্যাম্বাসেডর হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আমন্ত্রণ করেছিল নাঈম। নাম প্রকাশে অনচ্ছিুক এক মডেল জানান, ডিনারের ইনভাইট করা হয়েছিল তাকে। ঘটনাটি গত এপ্রিলের। গুলশান-২ এর একটি রেস্টুরেন্টে যান তিনি। সেখানে নাঈম ও সাফাত দুজনেই ছিল। রেস্টুরেন্টে যাওয়ার পর জুয়েলার্সের অ্যাম্বাসেডর হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে তারা নানা প্রসঙ্গে কথা বলছিল। সাফাত তখন জানিয়েছিল, সে নিঃসঙ্গ। তার কোনো কাছের বান্ধবী নেই।

ওই মডেল আরো জানান, নাঈম তখন ওই মডেলকে সাফাতের সঙ্গে গুলশানের একটি হোটেলে রাতের পার্টিতে অংশগ্রহণের অনুরোধ করে। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে ওই মডেল আর সেই পার্টিতে অংশ নিতে পারেনি। তবে ফোনে প্রায়ই কথা বলতো নাঈম ও সাফাত। ফোনে সাফাতের হয়ে আপত্তিকর প্রস্তাবও দিয়েছিল ওই মডেলকে। ওই প্রস্তাবের পর পিছিয়ে যান ওই মডেল। নাঈম তার বিত্তশালী বন্ধুর মনোরঞ্জনের জন্য আমাকে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।

২০ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে