রবিবার, ২৮ মে, ২০১৭, ০১:৩৯:৩৭

ভাস্কর্যটি এনেক্স ভবনের সামনে বসানো হয়েছে

ভাস্কর্যটি এনেক্স ভবনের সামনে বসানো হয়েছে

নিউজ ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে সরিয়ে নেওয়া ভাস্কর্যটি অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে। আজ শনিবার রাত ১০টা থেকে ভাস্কর্য বসানোর কাজ শুরু হয়ে রাত পৌনে ১টার দিকে সম্পন্ন হয়। ভাস্কর মৃণাল হক এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

মৃণাল হক ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের কাজ তদারক করেন। তিনি বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষের কথায় শনিবার রাত ১০টার দিকে ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু করেন। শেষ হয় রাত পৌনে ১টার দিকে। আমার ত্রিশ জন কর্মী ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের কাজ করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের মূল ভবনের পেছনে এনেক্স ভবনের এই জায়গায় বাইরের লোকজন তেমন আসে না। ভাস্কর্যটি আগে যেখানে ছিল ভালো জায়গায় ছিল। হাজার হাজার লোক দেখত। এখানে বসানো না বসানো একই কথা। এখানে কেউ দেখবে না, জানবে না, শুধু কোর্টের লোকজনই দেখবে।”

তবে অ্যানেক্স ভবনের সামনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কর্তৃপক্ষের নির্দেশ আছে। কাউকে যেতে দেওয়া যাবে না।’

ঘটনাস্থলে থাকা এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, ছোট পিকআপে করে শনিবার রাত ১০টার দিকে ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে আনা হয়। পরে ভার উত্তোলক যন্ত্র দিয়ে পিকআপ থেকে ভাস্কর্যটি নামানো হয়। ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করতে বেশ কয়েকজন শ্রমিক কাজ করে।

ভাস্কর্য পুনঃস্থাপন প্রসঙ্গে  অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহবুবে আলম বলেন, ‘আমি কিছু শুনিনি। আমি তো জানতাম না। এ বিষয়ে কথা বলা বিপজ্জনক।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের শেষ দিকে গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয়। এরপর প্রায় দুই মাস এ বিষয়ে পক্ষে-বিপক্ষে কোনও মত প্রকাশ করা না হলেও ফেব্রুয়ারিতে মুখ খোলেন হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী। এক বিবৃতিতে তিনি সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ভাস্কর্যটি অপসারণের দাবি জানান।

এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাংলাদেশের সবগুলো ধর্মভিত্তিক সংগঠন ভাস্কর্যটি সরানোর দাবিতে আন্দোলন করছিল। হেফাজতের ঘোষণা ছিল, অপসারণ করা না হলে শাপলা চত্বরে আবারও সমাবেশ করবে তারা। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গন থেকে ভাস্কর্যটি সরানো হয়।
২৮ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে