সোমবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৫, ০৩:২৯:৪৪

ফের আইএসের 'দায় স্বীকার' নিয়ে প্রশ্ন

ফের আইএসের 'দায় স্বীকার' নিয়ে প্রশ্ন

মেহেদী হাসান : গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানে ইতালির নাগরিক সিজারে তাভেল্লা হত্যা, ৩ অক্টোবর রংপুরে জাপানের নাগরিক কুনিও হোশি হত্যা এবং গত ২৩ অক্টোবর রাতে ঢাকায় হোসেনী দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় হামলা-জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড লেভেন্ত (আইএসআইএল, সংক্ষেপে আইএস) ওই তিনটি ঘটনারই দায় স্বীকার করেছে বলে প্রচার করা হচ্ছে। আর এ প্রতিটি খবরের উৎস এক, জঙ্গিবাদী প্রচারণা পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। অতীতে এ গ্রুপের তথ্য যেমন আলোড়ন ফেলেছে, তেমনি বিভিন্ন সময় তাদের তথ্য ও ভিডিওয়ের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। তবে হোসেনী দালানের হামলার নিন্দা জানাতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট এ ঘটনাগুলোকে বাংলাদেশের সংকটময় মুহূর্ত' হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশে আছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেছেন, এ ধরনের অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদোন বলেছেন, নজিরবিহীন এ সহিংসতা' বাংলাদেশ সর্বোচ্চ জাতীয় ঐক্যের মনোভাব নিয়ে মোকাবিলা করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের অনেকে দুই বিদেশি হত্যার মতো তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় চালানো হামলা আইএসের কাজ বলে মানতে নারাজ। নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) এ কে এম মোহাম্মদ আলী শিকদার প্রতিবেদককে বলেন, এ হামলা ও দায় স্বীকারের সঙ্গে আইএসের মিল নেই। আইএসের স্বীকৃতি পেয়েছে-এমন কোনো গোষ্ঠী বাংলাদেশে নেই। আমরা আইএস বা আল-কায়েদার কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পাই, তারা এত ছোট পরিসরে বা সাধারণ ব্যক্তি-বিশেষের ওপর হামলা চালায় না। এ কে এম মোহাম্মদ আলী শিকদার মনে করেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে স্বার্থান্বেষী কোনো মহল এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। এ দেশেও কিছু জঙ্গিগোষ্ঠী আছে, যারা খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। তাদের সঙ্গে আইএসের আদর্শিক মিলও থাকতে পারে। সারা বিশ্বে ওয়াহাবিরা খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায়। কিন্তু এর অর্থ এটি নয় যে, তারা সবাই আইএস। আরেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ মনে করেন, বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলোর জন্ম ও বৃদ্ধি দেশজ এবং তারা বাংলাদেশের ভেতর আক্রমণ চালিয়েছে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করার জন্যই। এগুলোর পেছনে স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতার অনেক প্রমাণ রয়েছে বলে তিনি জানান। মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশিদ বলেন, আল-কায়েদা ইন ইন্ডিয়ান সাব কন্টিনেন্ট (একিউআইএস) বা আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোনো গোষ্ঠীর উপস্থিতি আমরা এখনো বাংলাদেশে পাইনি। তবে তাদের সঙ্গে আদর্শিক মিল রয়েছে কিছু গোষ্ঠীর। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক ডক্টর আলী রীয়াজ বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সাইট আন্তর্জাতিক জঙ্গি তৎপরতা সম্পর্কে বিভিন্ন সময়ে যেসব তথ্য দিয়েছে, তার কিছু কিছু অতীতে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশে এসব ঘটনার সঙ্গে আইএসের জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে একক একটি সূত্রের ওপর নির্ভর করার পক্ষপাতী তিনি নন। ডক্টর আলী রীয়াজ মনে করেন না যে বাংলাদেশে আইএস বা একিউআইএসের সাংগঠনিক উপস্থিতি আছে। তেমন কোনো তথ্য বা প্রমাণ না থাকলেও তিনি বলছেন, একিউআইএস বা আইএসে যোগ দিতে ইচ্ছুক বা আকাঙ্ক্ষী জঙ্গি বা সন্ত্রাসী বাংলাদেশে থাকাটা বিচিত্র নয়-সেটা আছে বাংলাদেশে। আলী রীয়াজ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, অদূর ভবিষ্যতে সাংগঠনিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠিত হলেও অবাক হওয়ার মতো কিছু থাকবে না। কারণ স্থানীয় গোষ্ঠীগুলো সাধারণত সুযোগের অপেক্ষায় থাকে। সাম্প্রতিক তিনটি ঘটনার পরপরই আইএসের দায় প্রচার ও এ নিয়ে পশ্চিমা রাষ্ট্রদূতদের প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান এই প্রতিবেদককে বলেন, তৃতীয় বিশ্বের মতো দেশগুলোতে অস্থিরতা সৃষ্টি করে নিয়ন্ত্রণে রাখার যে কৌশল যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে আছে-রাষ্ট্রদূতদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমাদের সেটিই মনে পড়ে যায়। আমরা জানি, পশ্চিমা প্রভাবশালী দেশগুলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেও ব্যর্থ হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ঠেকাতে জন কেরি, বান কি মুন ফোন করেছিলেন। এসব নিয়ে তাঁদের মনে ক্ষত তো আছেই। এ ছাড়া তাঁদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে চাপের কাছে সরকার নতি স্বীকার করেনি। অধ্যাপক ড. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এ দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হলে কার লাভ এবং এ দেশ এগিয়ে গেলে কার ক্ষতি-এ প্রশ্ন থেকেই এসব হামলার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট বিদেশি গোষ্ঠী এ দেশে কোণঠাসা হয়ে পড়া গোষ্ঠীগুলোকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মদদ দিতে পারে। আমরা দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে জামায়াতকে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। জিয়াউর রহমানের মতে, দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহলের মধ্যে যোগসূত্র তৈরি হয়েছে। তারাই নানা ঘটনা ঘটিয়ে আইএসের নাম দিয়ে প্রচার করে নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। ড. মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এই নেটওয়ার্কিংয়ের যুগে বাংলাদেশে অপরাধ সংঘটিত হওয়া, সাইটের পক্ষ থেকে 'আইএস দায় স্বীকার' করেছে বলে প্রচার করা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ জানানোর বিষয়টি এক সূত্রে গাঁথা বলেই তিনি মনে করেন। সাইট নামে ওয়েবসাইটি নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সাইট খবর কিনে প্রচার করে এবং এসব প্রচার মূলত পশ্চিমাদেরই স্বার্থে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রশ্নবোধক মন্তব্য : হোসনি দালানের ঘটনার পর আইএসের দায় স্বীকার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিবিসি বাংলা বিভাগের প্রধান সাবির মুস্তাফা তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, শুক্রবার শিয়া ধর্মীয় শোভাযাত্রায় বোমা হামলায় নিহত ১৬ বছরের কিশোর ছিল একজন সুন্নি। পরিবারের সঙ্গে শোভাযাত্রায় অংশ নিতে সেখানে সে গিয়েছিল। শিয়া পরিবারগুলোর সঙ্গে আশুরা উদ্‌যাপনে সুন্নি পরিবারগুলোর যোগ দেওয়া বাংলাদেশের কাউকে বিস্মিত করবে না। সাবির মুস্তাফা আরো লিখেছেন, বাংলাদেশে কখনো শিয়া-সুন্নি সংঘাত দেখা যায়নি। তবে শুক্রবারের হামলা এই বার্তাই দিচ্ছে যে কোথাও কেউ কিছু ঘটানোর চেষ্টা করছে। কিছু প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তবে সত্যিই কি এটি আইএস? নাকি এটি দেশীয় কোনো গোষ্ঠী, যারা মধ্যপ্রাচ্য ও পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে, ঠিক যেমন নব্বইয়ের দশকে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছিল? ঢাকায় একটি দূতাবাসের এক বাংলাদেশি কর্মকর্তা ফেসবুকে ব্যক্তিগত মন্তব্যে লিখেছেন, বাহ ভালো তো... ব্যাপারটা তো বেশ সোজা হয়ে গেল... কালকে আমি যদি কাউকে মারি তার রেসপনসিবিলিটিও নিশ্চয়ই আইএস ক্লেইম করবে...। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি আক্কু চৌধুরী লিখেছেন, এটি লজ্জার বিষয়, যারা ১৯৭১ সালে আমাদের বিরোধিতা করেছিল তারা এ দেশকে সবার জন্য শৃঙ্খলমুক্তি, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে বিশ্বাসীদের এবং স্বাধীনতাপ্রেমীদের রাষ্ট্র হতে দেওয়ার লক্ষ্যচ্যুত করতে এখনো সক্রিয়। আক্কু চৌধুরী আরো লিখেছেন, 'শেখ হাসিনার সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং ১৯৭১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনকারী প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করছে। আর এর ফলে ১৯৭১ সালের পরাজিত শক্তি সন্ত্রাস করছে, যারা পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর ঘৃণিত খুনিদের সহযোগী ও দোসর। সহিংসতার নতুন মাত্রা : যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতির অধ্যাপক ডক্টর আলী রীয়াজ বলেছেন, বাংলাদেশে উগ্র ধর্মীয় মতাদর্শ উৎসারিত সন্ত্রাস, সহিংসতা যেটা আগে অনুপস্থিত ছিল এখন সে পরিস্থিতির একটা পরিবর্তন ঘটছে। তিনি বলেন, আগে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর কিছু কিছু হামলার ঘটনা ঘটলেও বাংলাদেশের ইতিহাসে সামগ্রিকভাবে ধর্মীয় সম্প্রদায়গত সহিংসতার নজির ছিল না। ডক্টর আলী রীয়াজ বলেন, বাংলাদেশে শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা তেমন উল্লেখযোগ্য না হলেও এবং রাজনীতিতে তাদের সরব উপস্থিতি না থাকলেও তাদের টার্গেট করার মূল কারণ 'ভিন্ন মত যারা অবলম্বন করছে তাদের ওপর হামলার প্রবণতা বাড়ছে।' তিনি বলেন, 'দুঃখজনক হচ্ছে, রাষ্ট্র যখন কাউকে নিরাপত্তা দিতে পারে না, তখন যারা মনে করে সংখ্যালঘুদের ওপর তারা হামলা চালাতে পারবে, তারা সুযোগটা গ্রহণ করে। অধ্যাপক ডক্টর আলী রীয়াজের মতে, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের জঙ্গি সংগঠন বা বিভিন্ন রকম গোষ্ঠী আছে, যারা এ ধরনের হামলার সুযোগ খোঁজে এবং যখন তারা দেখছে হামলাটা করে পার পাওয়া সম্ভব, তখন তারা হামলাটা করছে। তারা এসব ক্ষেত্রে একটা বার্তা দিতে চায় যে 'তারা এটা করতে পারে' এবং সেটাই সবচেয়ে উদ্বেগজনক। আলী রীয়াজ পাকিস্তানের উদাহরণ টেনে বলেন, পাকিস্তানে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে সংঘাতের ইতিহাস এবং সুন্নি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে বিভিন্ন রকম জঙ্গিগোষ্ঠীর উত্থানের পেছনে মূল কারণ ছিল, সে সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় যাঁরা ছিলেন তাঁরা নিজেদের ক্ষমতার ভিত শক্ত করতে ব্যস্ত ছিলেন। সে সুযোগে ধর্মীয় সম্প্রদায়গত সহিংসতার বীজ বপন হয়েছে। নিরাপত্তা পরামর্শ হালনাগাদ করেছে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা : ঢাকায় গত শুক্রবার রাতে হোসেনী দালানে হামলার পর যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশে সতর্কতা অবলম্বন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে নিরাপত্তা পরামর্শ হালনাগাদ করেছে। হালনাগাদ বার্তায় মূলত হোসেনী দালানের সামনে মিছিলে হামলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট গত শনিবার ফেসবুকে এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, পুরান ঢাকায় আশুরা উপলক্ষে শিয়াদের জনসমাগমে কাণ্ডজ্ঞানহীন হামলায় আমি মর্মাহত এবং হতাহতদের ও তাদের পরিবারের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই। বাংলাদেশে ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য অনেক পুরনো। এ সংকটময় মুহূর্তগুলোতে আমরা বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পাশে আছি। বাংলাদেশে বিদেশি কূটনৈতিক কোরের ডিন ও ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন এক টুইট বার্তায় বলেছেন, আশুরায় শিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলায় স্তম্ভিত। এ ধরনের অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। হতাহতদের প্রতি আমি আমার সহমর্মিতা জানাই। ঢাকায় ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদোনও হামলার তীব্র নিন্দা এবং হতাহতদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। ঢাকায় ইইউ কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ঐক্যের সর্বোচ্চ মনোভাব নিয়ে নজিরবিহীন এ সহিংসতা মোকাবিলা করবে বলে পিয়েরে মায়াদোনের বিশ্বাস রয়েছে। রাষ্ট্রদূত পূর্ণ তদন্ত নিশ্চিত করতে এবং এই অপরাধের হোতাদের বিচারের আওতায় আনতে সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।-কালের কণ্ঠ ২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/এস.এ.সুমন/একে

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে