বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭, ১২:২৮:০৫

৪ নায়িকার সঙ্গে নিয়মিত অবৈধ মেলামেশা করতেন সাফাত!

৪ নায়িকার সঙ্গে নিয়মিত অবৈধ মেলামেশা করতেন সাফাত!

নিউজ ডেস্ক : রাজধানীর বনানীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে সম্ভ্রমহানীর ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সাফাত আহমেদ রিমান্ডের প্রথম দিনেই গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রায় এক ডজন বান্ধবীর নাম ফাঁস করেছেন। এসব বান্ধবীর সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্কের কথাও খোলামেলা স্বীকার করেছেন তিনি।

সাফাতের এসব বান্ধবীদের মধ্যে উঠতি কয়েকজন মডেলও রয়েছেন। এমনকি তার সঙ্গে বাংলাদেশের সিনেমা জগতের ৪ জন নায়িকার সঙ্গে নিয়মিত অর্থের বিনিময়ে অনৈতিকভাবে মেলামেশা করতেন। সেসব কথাও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি বলেছেন, প্রতি রাতেই তিনি ও তার বন্ধুরা পার্টি করতেন। পাঁচ তারকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এসব পার্টিতে বন্ধু-বান্ধবীরা হাজির থাকতেন। এসব পার্টিতে বান্ধবীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের বর্ণনা করে সাফাত গোয়েন্দাদের বলেছেন, সবকিছুই সমঝোতার ভিত্তিতে হয়েছে।

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করে সাফাত দাবি করেছেন, ‘এটিও জোর করে হয়নি।’ এর সপক্ষে গ্রেফতারকৃত সাফাত আহমেদ কিছু প্রমাণও দেখিয়েছেন গোয়েন্দাদের। এর মধ্যে সাফাত আহমেদ অভিযোগকারী দুই তরুণীর মধ্যে একজনের সঙ্গে ঘটনার রাতে তোলা ঘনিষ্ঠ কিছু ছবিও (সেলফি) দেখান গোয়েন্দাদের।

গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে ৪ জন নায়িকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এমনকি তারা স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত কিনা সে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থেই নায়িকাদের নাম এখন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হচ্ছে না বলেও জানিয়েছে।

সূত্র বলছে, ২৮ মার্চ রেইন ট্রি হোটেলের ঘটনার সময় উপস্থিত দুই বান্ধবীর বন্ধু শাহরিয়ার আহমেদকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। একপর্যায়ে শাহরিয়ার আহমেদকে সাফাতের মুখোমুখি করা হয়। শাহরিয়ার পুলিশকে বলেন, সাফাতের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার দুই বান্ধবীর আমন্ত্রণে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন। ওই দিন সঙ্গে তার গার্লফ্রেন্ডও ছিল। সেদিন তার গার্লফ্রেন্ডকেও নির্যাতন করতে চেয়েছিল সাফাত ও নাঈম। এ ক্ষেত্রে বেশি আগ্রাসী ছিল নাঈম।  

তিনি বলেন, ‘এ সময় আমি ও আমার সন্মান হারানো বান্ধবী সাফাত ও নাঈমের পা জড়িয়ে ধরে তাকে নষ্ট না করতে অনুরোধ করি। সাফাত আমাদের অনুরোধে সাড়া দিয়েছিল বলে আমার গার্লফ্রেন্ডের সন্মানহানী হয়নি। তবে আমাকে বেধড়ক পিটিয়েছিল সাফাত, সাকিফ ও নাঈম। মাথায় পিস্তল ধরে উল্টাপাল্টা স্বীকারোক্তি আদায় করেছিল। ’

৩১ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে