বাড়ি ফিরছে শাহাদাত
নিউজ ডেস্ক: গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বাড়ি থেকে ২ অক্টোবর সকালে চাচার সঙ্গে হাঁটতে বেরিয়েছিল স্থানীয় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদাত হোসেন ওরফে সৌরভ। এ সময় সাংসদ মনজুরুল ইসলাম গুলি ছুড়লে শিশুটির বাঁ পায়ে একটি ও ডান পায়ে দুটি গুলি লাগে। ওই দিনই শিশু শাহাদাতকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অনেক দিন পর সেই হাসপাতাল থেকেই বাড়ি ফিরছে শাহাদাত। তবে বাড়িতে কতটা নিরাপদে থাকবেন, এ নিয়ে তাঁরা একটু চিন্তিত। ছেলেকে ফুটবল ও খেলনা গাড়ি কিনে দেয়ায় বাবা সাজু মিয়ারও মুখে হাসি।
শাহাদাতের চিকিৎসক বাবলু কুমার সাহা বলেন, শাহাদাত এখন পুরোপুরি সুস্থ। এখন হাঁটতে পারে। আশা করা যায়, দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে সে আগের মতো দৌড়ঝাঁপ দিতে পারবে। তার পেশিতে গুলির ক্ষত ধীরে ধীরে সেরে যাবে। নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে।
শাহাদাত এখন কারও সাহায্য ছাড়া ভালোভাবেই হাঁটতে পারছে। অনেক দিন বাঁচতে চায় সে। তাই দোয়া করতে বলল সবাইকে। হাসপাতালের চিকিৎসক ও সেবিকাদের আদর-যত্নে সুস্থ হয়ে উঠেছে সে। তাঁদের কাছে আবদারও কম নয়। হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার আসাদুজ্জামান তাকে দুটো হরলিকস দিয়েছেন। আরও দুটি হরলিকস চাইল শাহাদাত।
হাসপাতালের পরিচালক আ স ম বরকতুল্লাহ বলেন, শাহাদাত এখন পুরোপুরি সুস্থ। তাঁর কক্ষেই সংবাদ সম্মেলন হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিশু শাহাদাতের চিকিৎসার ব্যাপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সব সময় খোঁজ নিয়েছে। বাড়ি যাওয়ার পরও প্রতি সপ্তাহে অথবা ১৫ দিনে একবার তাকে দেখবেন চিকিৎসকেরা। শাহাদাতের পরিবার যেকোনো প্রয়োজনে হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। তাঁদের যোগাযোগ করার জন্য নম্বর দেওয়া হয়েছে।
পরিচালকের কক্ষে রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নুরুন্নবী লাইজু, শাহাদাতের চিকিৎসক শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাবলু কুমার সাহা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
২৬ অক্টোবর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/রাসেল/মাহমুদ