নিউজ ডেস্ক : দেশের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে ‘আইয়ুব বাচ্চু’ ছদ্মনাম নিয়ে এক ব্যক্তি জঙ্গি দল নব্য জেএমবিকে সংগঠিত করার চেষ্টায় আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সিলেটের অভিযানে মইনুল ইসলাম মুসা নিহত হওয়ার পর বাচ্চু নব্য জেএমবির আমিরের দায়িত্ব নেন।
তিনি বলেন, আইয়ুব বাচ্চু তার সাংগঠনিক নাম। তার একটি ছবি আমরা পেয়েছি। তার প্রকৃত নাম পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে পুলিশ খুঁজছে।
সাভার ও লক্ষ্মীপুর থেকে নব্য জেএমবির সন্দেহভাজন তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানাতে পুলিশের গণমাধ্যম কার্যালয়ে এই ব্রিফিংয়ে আসেন মনিরুল। গ্রেপ্তার এই তিনজন হলেন- মনির হোসেন (৩২), মো. তৌহিদুল ইসলাম (৩৫) ও কামাল হোসেন (৩৫)।
অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জানা যায়, সিলেটে মইনুল ইসলাম মুসা মারা যাওয়ার পর আইয়ুব বাচ্চুই নব্য জেএমবির আমিরের দায়িত্ব পালন করে আসছে।
পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য, সারোয়ার জাহানের পর নব্য জেএমবির নেতৃত্বে আসেন রাজশাহীর বাগমারার মইনুল ইসলাম ওরফে মুসা। গত মার্চে সিলেটের আতিয়া মহলে অভিযানে তিনিও নিহত হন বলে পুলিশের ধারণা।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা জানান,আইয়ুব বাচ্চু ঢাকায় নামী একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও লেখাপড়া শেষ করতে পারেননি। দুই বছর আগে তিনি জঙ্গিবাদে জড়ান।
কাউন্টার টেরোরিজমের প্রধান মনিরুল জানান, গত ২৭ মে সাভারের গেন্ডা ও ২৮ মে সাভারে দুই দফা অভিযান চালায় পুলিশ। গেণ্ডার ওই বাসায় থাকতেন নব্য জেএমবির নতুন আমির আইয়ুব বাচ্চু। আর গ্রেপ্তার মনির ও তৌহিদুল তার সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
তাদের কাছ থেকে খবর পেয়েই অভিযানের আগে আগে আইয়ুব বাচ্চু পালিয়ে যেতে সক্ষম হন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেখান থেকে সাতটি গ্রেনেড, তিনটি সুইসাইড বেল্ট এবং বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
৪ জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস
৪ জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস