বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭, ১২:৪২:৪৮

বেঁড়িবাধ থেকে গলায় কাপড় পেঁচানো এএসপির লাশ উদ্ধার

বেঁড়িবাধ থেকে গলায় কাপড় পেঁচানো এএসপির লাশ উদ্ধার

ঢাকা : রাজধানীর রূপনগর থানা এলাকার বিরুলিয়ায় একটি সড়কের পাশ থেকে হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মিজানুর রহমান তালুকদারের (৫০) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল বেলা সোয়া ১১টার দিকে মিরপুর-আশুলিয়া রোডের বিরুলিয়ার বেড়িবাঁধের বোটক্লাব এলাকার রাস্তার পাশে নিচু স্থানে বনের মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। গাল ও থুতনি কেটে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। নিহত এএসপির গলায় জুট কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো ছিলো। রূপনগর থানার এসআই আলমগীর হোসেন লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন।

পুলিশ ধারণা করছে, তাকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানাতে পারেনি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

পুলিশ জানায়, গতকাল সকালে বেড়িবাঁধের বোটক্লাব এলাকায় রাস্তার পাশে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ তার লাশের সঙ্গে থাকা দু’টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার করে। মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তার পরিচয় উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।

এ ছাড়া ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, র‌্যাব, পিবিআইসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, এএসপি মিজানুর রহমানের নামে অফিসিয়াল কোনো গাড়ি ইস্যু করা ছিল না। এ কারণে তিনি ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার নিয়ে অফিসে যেতেন।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রাইভেট কারটি তার বাড়ির গ্যারেজেই রয়েছে। তার সঙ্গে থাকা ব্যাগের ভেতরে পুলিশের ইউনিফর্মের শার্ট পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি অফিসে গিয়ে ইউনিফর্মের শার্ট পরতেন। কিন্তু গাড়ি ছাড়া তিনি কেন বের হলেন তার কোন উত্তর পাওয়া যাচ্ছে না।

রূপনগর থানার ওসি সৈয়দ শহীদ আলম জানান, এএসপি মিজানুর রহমানকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা অন্য কোথাও হত্যার পর বেড়িবাঁধ এলাকায় তার লাশ ফেলে গেছে।

ওসি আরো জানান, নিহতের গলায় কাপড় দিয়ে প্যাঁচানো ছিল। তার শরীরে একটি চেক শার্ট ছিল। পরনের প্যান্টটি ছিল পুলিশের ইউনিফর্ম। সঙ্গে ব্যাগে তার ব্যক্তিগত গাড়ির চাবিও পাওয়া গেছে।

হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি আতিকুল ইসলাম জানান, এএসপি মিজানুর রহমান এক বছর ধরে সাভারে কর্মরত ছিলেন। তার হত্যার বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে সিআইডি’র ক্রাইমসিন বিভাগ হত্যা সূত্র ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করেছে।

জুন, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে