নিউজ ডেস্ক : অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নয় বছর দেশ শাসনের পর গণআন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত এইচ এম এরশাদ বাংলাদেশকে ‘বদলে দেওয়ার জন্য’ পুনরায় ক্ষমতায় ফিরতে চাইছেন।
জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রোববার হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, “আমাকে আরেকবার সুযোগ দিন। একবার সুযোগ দিয়ে দেখুন, এই বাংলা আমি পরিবর্তন করে দেব। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পও থাকবে না।”
বাংলাদেশের সংবিধান পরিবর্তন করে তাতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম যুক্ত করার এই কারিগর এরশাদ বলেন, “আমি সাম্প্রদায়িক নই। জাতীয় পার্টি কখনও সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদে বিশ্বাস করে না।”
নিজের ছেলেবেলার স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, “ছোটবেলায় আমি অঙ্কে কাঁচা ছিলাম। আমার হিন্দু বন্ধুদের দেখতাম, দেবী সরস্বতীর পায়ে তারা বই রাখত। তারা বলত, ‘এতে পড়ালেখা ভালো হয়’। তাদের দেখাদেখি আমিও তা করতাম।”
রাজধানীর গুলশানে ইমানুয়েলস কনভেনশন সেন্টারে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের নিয়ে এই মত বিনিময়ের আয়োজন করে এরশাদের দল জাতীয় পার্টি।
সভায় হিন্দু,বৌদ্ধ ,খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেন, “দেশে এখন যে অবস্থা, নির্বাচন সামনে এলেই আমরা আতঙ্কে থাকি। কারণ আমরা ভোট দিলেও মার খাই, না দিলেও মার খাই।”
বৈষম্যের নজির তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টে আমানতের সুদের টাকায় চলে, অন্যদিকে ইসলামী ফাউন্ডেশনের জন্য প্রতিবছর রাজস্ব বাজেট থেকে বরাদ্দ থাকে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ বলেন, “আমি ক্ষমতায় থাকাকালে হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছিলাম। জন্মাষ্টমীর ছুটি আমি ঘোষণা করেছিলাম। মসজিদ ও মন্দির নির্মাণে বরাদ্দের বিষয়ে বৈষম্য করিনি।
তিনি বলেন, “আমি কথা দিচ্ছি, জাতীয় পার্টি যদি নির্বাচনে জয়ী হয় তাহলে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য জাতীয় সংসদে ৩০টি আসন সংরক্ষিত থাকবে। পৃথক মন্ত্রণালয়, কমিশন গঠন হবে। আপনারা শুধু আমার হাতকে শক্তিশালী করুন।”
মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতী, খালেদ আক্তার, জাপা চেয়ারম্যানের সংখ্যালঘু বিষয়ক উপদেষ্টা সোমনাথ দে, রাজনৈতিক ও প্রেস সচিব সুনীল শুভরায়, ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারুচন্দ্র ব্রহ্মচারী, শ্রীকৃষ্ণ সেবা সংঘের আহ্বায়ক নকুল চন্দ্র সাহা উপস্থিত ছিলেন।
এমটিনিউজ/এসএস