বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭, ০৮:২৯:২৯

‘প্রধানমন্ত্রীর ওপর কথা বলার সাহস আপনাকে কে দিল?’

‘প্রধানমন্ত্রীর ওপর কথা বলার সাহস আপনাকে কে দিল?’

নিউজ ডেস্ক : ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণ নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, আজকে প্রধানমন্ত্রীর ওপর কথা বলার সাহস আপনাকে কে দিল?

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে নারী সংসদ সদস্য সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করা হয়েছে দাবী করে এর প্রতিবাদে যুব মহিলা লীগ এক মানববন্ধনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমির হোসেন আমু এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রের ক্ষমতা নিয়ে নিতে চান। এই সব ঔদ্ধত্য দেখানোর একটা সীমা আছে। আওয়ামী লীগ সরকার, শেখ হাসিনার সরকার কোনো ঠুনকো দল নয়। কোনো সামরিক জান্তার পকেট থেকে এই দলের সৃষ্টি হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আজকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার জন্য যারা মাঠে নেমেছে, আপনি ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই তাদের চিনতে পেরেছেন। তারা আপনার বন্ধু নয়। তারা আপনার শত্রু। ভুলে গেলে হবে না, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তিনি তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি ক্ষমতায় আসার পর তাকে নানাভাবে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু তাকে কোনো কিছুই দমিয়ে রাখতে পারেনি।

আমির হোসেন আমু বলেন, প্রধানমন্ত্রী সবকিছুকে উপেক্ষা করে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আজকে তার ওপর কথা বলার সাহস আপনাকে কে দিল? আজকে কী উদাহরণ দিয়া ভীতিপ্রদর্শন করছেন?'

শিল্পমন্ত্রী বলেন, পর্যবেক্ষণে দেশের বিরুদ্ধে যে কথা বলা হয়েছে, তা প্রত্যাহার না করলে দেশের মানুষ এগিয়ে আসবে। দেশের মানুষ প্রতিবাদে নামবে। সংসদের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে আপনার ভাবা উচিত ছিল, এই সংসদের মাধ্যমেই আপনার নিয়োগ। এই সংসদের রাষ্ট্রপতিই আপনাকে নিয়োগ দিয়েছেন। আজকে সেদিকে চিন্তা রেখে ভবিষ্যতে কথা বলবেন।

তিনি বলেন, আজকে অনেক দল, বিশেষ করে বিএনপি নেতারা শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করছেন। তারা তো করবেনই। কারণ, তারা তো পাকিস্তানপ্রেমিক। বাংলাদেশে একটা কথা আছে, 'সব শিয়ালের এক রা'।

যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিলের সঞ্চালনায় ও সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আকতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক। মানববন্ধনে যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে