বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৫৮:৩৬

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সাড়ে ৬৬৫ কোটি টাকা পাচ্ছেন এমপিরা

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে সাড়ে ৬৬৫ কোটি টাকা পাচ্ছেন এমপিরা

নিউজ ডেস্ক : সারা দেশে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ৬৬৫ কোটি ৬১ লাখ টাকা বরাদ্দ দিচ্ছে সরকার, যার তদারকির দায়িত্বে থাকছেন সংসদ সদস্যরা। গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পসহ প্রায় ৫ হাজার ১৮০ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়।

‘সর্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় তারা ওই অর্থ নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান, মন্দির, শ্মশান, গির্জা, প্যাগোডা, গুরুদুয়ারা এবং খেলার মাঠের উন্নয়নে ব্যয় করতে পারবেন।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। ১০ প্রকল্পে সরকারি অর্থায়ন থেকে ব্যয় হবে ৪ হাজার ৪৬২ কোটি ২৫ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৬৯৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।

বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সর্বজনীন সামাজিক অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে। এ জন্য সংসদ সদস্যরা সরাসরি বরাদ্দ পাবেন না। তবে তাদের পছন্দ অনুযায়ী কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, এ প্রকল্পে সিটি করপোরেশন এলাকা বাদে প্রত্যেক উপজেলার জন্য ১ কোটি টাকা করে দেশের ৪৯১টি উপজেলার জন্য ৪৯১ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া পূর্ত কাজের জন্য থোক বরাদ্দ হিসেবে ১০৯ কোটি টাকা রাখার কথা বলা হয়েছে প্রকল্প প্রস্তাবে। থোক বরাদ্দের অর্থ চাহিদা ও গুরুত্ব অনুযায়ী ব্যয় করা হবে। নির্বাচিত প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকার উন্নয়ন কাজ হবে।

প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে ২০২০ সালের জুনের মধ্যে। এদিকে একনেকের বৈঠকে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার আরো নয়টি প্রকল্প সরকারের অনুমোদন পেয়েছে। সেগুলো হলো- সিলেট বিভাগের ‘গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে এক হাজার ২১৪ কোটি টাকার প্রকল্প। বৃহত্তর কুমিল্লা জেলার গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ৯৮৬ কোটি টাকার প্রকল্প।

চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার ৭২ নম্বর পোল্ডারে ভাঙনপ্রবন এলাকায় পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১৯৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশের ২৩টি পৌরসভায় পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশনের জন্য ৯৯২ কোটি টাকার প্রকল্প। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিবাস নির্মাণে ১০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আরিচা-ঘিওর-দৌলতপুর-টাঙ্গাইল সড়কে ১০৩ দশমিক ৪৩ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছে ৬৫ কোটি টাকা।

সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ও ভাষা প্রশিক্ষণ ল্যাব স্থাপনে ৩৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প। যমুনা নদীর ভাঙন থেকে সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় খুদবান্দি, সিংড়াবাড়ি ও শুভগাছা এলাকা রক্ষায় ৪৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প। গোপালগঞ্জে বহুতল সরকারি অফিস নির্মাণে ৯৮ কোটি টাকার প্রকল্প।
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে