বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ০১:২১:৫০

বাংলাদেশে চাল রপ্তানি স্থগিত করেছে ভারত

বাংলাদেশে চাল রপ্তানি স্থগিত করেছে ভারত

নিউজ ডেস্ক : আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চাল রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এ বিষয়ে ভারতীয় কাস্টমস একটি চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশকে। বেনাপোল শুল্ক বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক আলোক চতুর্বেদীর স্বাক্ষর রয়েছে চিঠিতে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত সরকার বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বন্ধ রাখলে চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ১৫ই সেপ্টেম্বর থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় আড়াই মাস ভারত বাংলাদেশে চাল রপ্তানি করতে পারবে না। কারণ, তাদের দেশের অভ্যন্তরে খাদ্যকেন্দ্রিক জনবান্ধব কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সেখানে তাদের খাদ্য বিতরণ করতে হচ্ছে। তাই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দুই দফা বন্যা ও সরকারি মজুত কমার খবরে প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম। বাজারের এই অস্থিরতার সুযোগ নিচ্ছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এক সপ্তাহেরও কম সময়ের ব্যবধানে তারা চালের রপ্তানি মূল্য বাড়িয়েছেন টনপ্রতি ৬০-৭০ ডলার।

এর মধ্যে ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে বিশাল প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন তারা। এজন্য সরকারকে চাল আমদানি আরো বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এই মুহূর্তে রোহিঙ্গারা চলে এসেছে। ফলে সামনে চাল নিয়ে বাংলাদেশ বিশাল চাপে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, চাল মজুতের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরকারি অভিযান শুরু হয়েছে। যাদের গোডাউনে চাল মজুতের প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হবে।

জানা গেছে, ভারত থেকে সবচেয়ে বেশি চাল আমদানি হয় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে। এ বন্দরের আমদানিকারকরা জানান, দুদিন আগেও ভারত থেকে তারা চাল আমদানি করেছিলেন প্রতি টন ৪৮০-৫০০ ডলারে। এখন সেখানে চাওয়া হচ্ছে ৫৬০-৫৭০ ডলার।

বাংলাদেশের বাড়তি চাহিদার কারণেই রপ্তানি মূল্য বেড়েছে, তা স্বীকার করে ভারতের ব্যবসায়ীরা সাংবাদিকদের বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা দ্রুত চাল সরবরাহ চাইছেন। এটা সম্ভব কেবল ভারতের পক্ষেই। বাংলাদেশ থেকে প্রচুর রপ্তানি আদেশ পাচ্ছেন। বাড়তি চাহিদার সুযোগে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে চালের দাম টনপ্রতি ১০ ডলার বাড়িয়েছিলেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। আর গত তিন মাসের হিসাবে বেড়েছে ১০০-১২০ ডলার। এমজমিন
এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে