শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:৪৫:৪৪

প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাব : প্রধানমন্ত্রী

প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাব : প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক : রোহিঙ্গারা বিপদে পড়ে বাংলাদেশে এসেছে। তাদের যেন কোনো কষ্ট না হয়। প্রয়োজনে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খাবার ভাগ করে খাব বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানকার সরকার কেন এ ধরণের ঘটনা ঘটাচ্ছে তা জানি না। তবে যারাই বিদ্রোহী কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের খুঁজে বের করা উচিত। নিরীহ মানুষ কী করেছে? আজ বিশ্ব বিবেক জেগে উঠেছে। ইতোমধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী সুচিকে ফোন দিয়ে এ সমস্যা সমাধানের জন্য বলেছেন।

তিনি বলেন, জাতিসংঘও তাদের নাগরিক ফিরিয়ে নিতে বলেছে। রিলিফ তদারকির জন্য সোনবাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছি। যারাই ত্রাণ নিয়ে যাবে তারা ডিসির কাছে জমা দেবে। যদি প্রয়োজন হয় আমাদের খাবার তাদের সঙ্গে ভাগ করে খাব। মিয়ানমারের মত রোহিঙ্গাদের নাফ নদী কিংবা বঙ্গোপসাগরে ফেলতে পারি না।

শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্য নিয়ে কাউকে খেলতে দেব না। চালের দাম বাড়ার কোনো যৌক্তিতা দেখি না। কারা এ নিয়ে খেলছে? ’৭৪ সালের খাদ্য সচিবকে কিন্তু জিয়াউর রহমান পরে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। সেই সময়ে মঙ্গার সঙ্গে এই মন্ত্রী বানানোর যোগসাজশ আছে। বিষয়টি মনে রাখতে হবে। চাল মজুদ রেখে এ ঘটনা ঘটাচ্ছে কিনা তা তল্লাশি করে দেখা হবে।

রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার তাদের দেশের মানুষদের ওপর অত্যাচার করছে। কিছু বিদ্রোহী ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা সেই দেশের সেনাবাহিনী, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের হত্যা করেছে। অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে। সে ঘটনার পরই সেখানে সেনাবাহিনী হত্যাযজ্ঞ, অত্যাচার, নির্যাতন চালাচ্ছে। কিন্তু নিরীহ মানুষের ওপর কেন এমন অত্যাচার করা হবে?

তিনি আরও বলেন, আমি দেখেছি কী করুণ অবস্থা। শিশু, নারী বয়োবৃদ্ধ বেশি এসেছে। চাকরিজীবী ভালো পরিবারের লোকজনও চলে আসতে বাধ্য হয়েছে। ’৭১ সালে হানাদার বাহিনী যেভাবে আমাদের ওপর আক্রমণ করেছিল ঠিক সেভাবেই তাদের ওপর অত্যাচার করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিজেরাই দেখেছি দিনের পর দিন পাকহানাদার আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে। বাড়িঘরে আগুন দিয়েছে। দূর থেকে এখনও দেখা যায় মিয়ানমারে আগুন জ্বলছে। এরা আমাদের কাছে বিরাট একটি বোঝা ঠিকই; কিন্তু মানবিক কারণে আমরা আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছি। তাদের নির্যাতনের কথা শুনলে কোনো মানুষই সহ্য করতে পারবে না। তাদের কোথায় কীভাবে রাখব জানি না।

এমটিনিউজ/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে