ওয়াশিংটন থেকে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্দশাগ্রস্ত মিয়ানমারবাসী রোহিঙ্গাদের জন্য তার সরকারের বাসস্থান, খাদ্য ও স্বাস্থ্য সুবিধাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেছেন, দেশের মানুষ যদি প্রয়োজন হয় দিনে এক বেলা খেয়ে আরেক বেলার খাবার রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভাগাভাগি করবে।
রোববার সন্ধ্যায় রিট্জ কার্লটন হোটেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেট থেকে আসা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারি , যদি প্রয়োজন হয় তবে রোহিঙ্গাদের এই দুর্দিনে আরো পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের খাদ্যের ব্যবস্থা করতে পারব, আমরা দিনে একবেলা খেয়ে আরেক বেলার খাবার এই দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সাথে ভাগাভাগি করব।
তিনি বলেন, আমরা মানুষ, আমরা মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এই কথা জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদিও আমরা ধনী না, তবে আমাদের মন আছে….তারা মানুষ, আমরা তাদের সাগরে ছুড়ে ফেলতে পারি না।
প্রধানমন্ত্রী এমন এক সময়ে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে তার দৃঢ় আকাঙ্খা ব্যক্ত করেলেন যখন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মানবিক বিপর্যয় আসন্ন বলে হুঁশিয়ার করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের বিশ্ব-খাদ্য কর্মসূচি সংস্থা বা ডাবলিওএফপি প্রধান ড্যাভিড বিসলি বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সম্পর্কে এধরনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ড্যাভিড বিসলি রোববার বলেছেন, বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলোতে থাকা রোহিঙ্গারা জরুরি ত্রাণ সাহায্যের মুখাপেক্ষী এবং বিশ্ব সমাজের উচিত তাদের সাহায্য করা। আর তা না করা হলে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।
ড্যাভিড বিসলি বলেন, প্রতিদিন ৫ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর খাবার দরকার, বাংলাদেশ সরকার একা তার যোগান দেয়ার ক্ষমতা রাখে না।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস